আরও টাকা চায় এননটেক্স গ্রুপ
জনতা ব্যাংকের বড় গ্রাহক এননটেক্স গ্রুপের আরও টাকার দরকার বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
সচিবালয়ে আজ সোমবার জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান লুনা শামসুদ্দোহা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবদুছ ছালাম আজাদসহ এননটেক্স গ্রুপের এমডি ইউনূস বাদলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এননটেক্স গ্রুপ যতগুলো প্রতিষ্ঠান করেছে, কোনোটিই চলতি মূলধন পাচ্ছে না বলে জানান অর্থমন্ত্রী। বলেন, জনতা ব্যাংক বলেছে প্রতিষ্ঠানগুলো চলছে। কিন্তু ব্যাংকের কাগজে-কলমে খেলাপি হয়ে গেছে।
সমাধানের পথ বের করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘না। আমি কোনো সমাধানের পথ বাতলে দিইনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু প্রশ্নের জবাবে জনতা ব্যাংক কিছু প্রশ্ন জানতে চেয়েছে এননটেক্সের কাছে। এননটেক্স এখনো প্রশ্নগুলোর জবাব দেয়নি। তবে বলেছে যে জবাব দিতে পারবে।’
পয়সার অভাবে এননটেক্স সব প্রতিষ্ঠান চালাতে পারছে না, এমন মন্তব্য করে মুহিত বলেন, জনতা ব্যাংক চলতি মূলধন দেয়নি, কখনোই দেয়নি।
এখন কি তাহলে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে কিছু করা হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের (এননটেক্স) প্রথম কাজ হবে জবাবটা দেওয়া। তারপর জনতা ব্যাংক তাদের ডাকবে। জনতা ব্যাংক যদি মনে করে বাংলাদেশ ব্যাংকেরও এখানে জড়িত (ইনভলভমেন্ট) হওয়া উচিত, জনতা ব্যাংক তখন বাংলাদেশ ব্যাংককেও ডাকবে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এননটেক্স গ্রুপের ইউনিটগুলো ভালো। আমি দেখতেও গিয়েছিলাম। প্রথম শ্রেণির প্রতিষ্ঠান এগুলো। এগুলোর অস্তিত্ব আছে।’
প্রথম আলোতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ‘একক ব্যক্তির ঋণে বৃহত্তম কেলেঙ্কারি’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যাতে উঠে আসে ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এননটেক্সের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ২২ প্রতিষ্ঠানের নামে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয় জনতা ব্যাংক।