অভ্যন্তরীণ ৩ রুটে ইউএস দিনে ১০ ফ্লাইট
কাল সোমবার শুরু হচ্ছে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল। ঢাকা থেকে সৈয়দপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেট রুটে প্রতিদিন ২৪টি করে ফ্লাইট চলবে। এর মধ্যে বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস–বাংলার ফ্লাইট রয়েছে ১০টি। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এসব ফ্লাইট পরিচালিত হবে। উড়োজাহাজের ধারণক্ষমতার ৭৫ শতাংশের বেশি যাত্রী বহন করা হবে না বলে জানিয়েছে ইউএস–বাংলা কর্তৃপক্ষ।
আজ রোববার ইউএস বাংলার মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিদিন চট্টগ্রামে ছয়টি, সৈয়দপুরে তিনটি এবং সিলেটে একটি করে ফ্লাইট চলবে। যশোর, কক্সবাজার, রাজশাহী ও বরিশালে ফ্লাইট শুরুর ব্যাপারে তাঁরা প্রস্তুত রয়েছেন। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) অনুমতি দিলে এসব রুটে ফ্লাইট চালু করবেন। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বেবিচকের ৩৫টি নির্দেশনা অনুযায়ী ফ্লাইটগুলো পরিচালিত হবে।
কামরুল ইসলাম বলেন, ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকাও) নির্দেশনা অনুযায়ী করোনাভাইরাসসহ স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়িয়ে এ নির্দেশনা তৈরি করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে যাত্রীদের একটি ফরম দেওয়া হবে। ফরমে যাত্রীর নাম, বয়স, লিঙ্গ, জন্মতারিখ, বর্তমান ঠিকানা, এয়ারলাইনসের নাম, ফ্লাইট নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, শরীরের তাপমাত্রা, মোবাইল ও ই-মেইল নম্বর পূরণ করতে হবে। একই সঙ্গে ফরমে যাত্রীদের স্বাস্থ্যগত তথ্য জানতে ফরম দেওয়া হবে।
কামরুল ইসলাম জানান, বিমানবন্দরে প্রবেশের সময়, বোডিং পাস দেওয়ার আগে সব যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা মাপা হবে। যদি যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা ৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি হয়, তাকে আর ফ্লাইটে উঠতে দেওয়া হবে না। চেক-ইনের সময় কাউন্টার ও আশপাশের সহযোগীদের সার্বক্ষণিক মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, ডিসপোজেবল ক্যাপ পরতে দেওয়া হবে। প্রতিটি কাউন্টারের পাশে হ্যান্ড স্যানিটাইজার থাকতে হবে। সামাজিক দূরত্ব মেনে যাত্রীকে চেক-ইনের লাইনে দাঁড়াতে হবে। প্রতি ফ্লাইটের আগে ডিসইনফেকট্যান্ট ছিটিয়ে ফ্লাইট জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এরপর যাত্রীকে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিতে হবে। কোনো ফ্লাইটে পানি ছাড়া খাবার দেওয়া যাবে না।
কামরুল ইসলাম বলেন, ফ্লাইটে কেবিন ক্রুদের এন-৯৫ মাস্ক, চশমা, রাবারের হ্যান্ড গ্লাভস ও ফেসিয়াল মাস্ক পরতে হবে। তাদের ককপিটে প্রবেশ যত সম্ভব কমিয়ে ইন্টারকমে যোগাযোগ করতে হবে। ফ্লাইটে দুজন কেবিন ক্রু একসঙ্গে খাবার পরিবেশন করতে পারবেন না। ফ্লাইটের দুই সারিতে আসন খালি রাখতে হবে। ফ্লাইটে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে রোগী পাওয়া গেলে তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ওই সব আসনে কেবিন ক্রুরা বসাবেন। সবশেষে ক্রু ও পাইলটদের মানসিকভাবে শক্তিশালী করতে হবে। একই সঙ্গে উড়োজাহাজগুলো জীবাণুমুক্ত করা হবে।