অভ্যন্তরীণ গবেষণাকাঠামো সমৃদ্ধ করতে হবে: সিপিআর, বাংলাদেশ
বাংলাদেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে একটি সুচিন্তিত, ব্যাপক ও কৌশলসমৃদ্ধ উদ্ধার পরিকল্পনা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন গবেষকেরা। তাঁরা বলেছেন, দেশের অভ্যন্তরীণ গবেষণাকাঠামো উন্নত করতে হবে। কোভিড–১৯ উত্তর পরিস্থিতিতে গবেষণা খাত অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।
‘কোভিড-১৯, পরিকল্পনা এবং কোভিড–উত্তর কর্মকাণ্ড’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল লাইভ আলোচনায় এসব কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা। এর আয়োজন করে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ, বাংলাদেশ (সিপিআর)। গতকাল শুক্রবার রাতে এ সভা হয়। আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় সিপিআরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম, কামাল উদ্দিন বলেন, স্বাস্থ্য সংকটের দিকে সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে। প্রতিটি হাসপাতাল, ক্লিনিক ইত্যাদিকে নিজস্ব কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে কাজ করতে হবে এবং সমস্যাগুলোর সমাধান করার উদ্যোগ নিতে হবে। দেশের হটস্পটগুলোর দিকে কড়া নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে। দ্রুত অ্যান্টিবডি টেস্টিং এবং প্লাজমাথেরাপির ব্যবস্থা যত সম্ভব তাড়াতাড়ি চালু করতে হবে।
বুয়েটের ইনস্টিটিউট অব অ্যাপ্রোপ্রিয়েট টেকনোলজির সাবেক পরিচালক কামাল উদ্দিন বলেন, স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ থেকে ৪ বা ৫ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। তিনি অভ্যন্তরীণ গবেষণার প্রয়োজনীয়তা এবং গবেষণাকাঠামো উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
সিপিআরের সিনিয়র পার্টনার মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতিতে শিল্প ও বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব এবং সম্ভাব্য শিল্প খাতগুলো বন্ধ হওয়ায় আগামী অর্থবছরের সরকারের রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে গবেষণা ও উন্নয়ন শিল্প খাত হতে পারে নতুন এক চালনশক্তি, যা আন্তর্জাতিক বাজারে গবেষণাশিল্পের চাহিদা মেটাতে পারে। সুতরাং গবেষণা ও উন্নয়নশিল্প খাতই নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ সরকারের আগামী অর্থবছরের ঘাটতি মেটাতে পারে।
আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক শামীমা শাহেদ বলেন, ‘যত দিন না কোভিড-১৯–এর কোনো ভ্যাকসিন বাজারে আসছে, তত দিন পর্যন্ত আমাদের ইমিউনিটি বাড়াতে হবে। এর জন্য দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি এবং জিংক যুক্ত খাবারের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাজমুল আহসান বলেন, করোনা–পরবর্তী বিশ্ব সম্পূর্ণ অন্য রকমের হবে এবং আমাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশে মেধাসম্পদভিত্তিক গবেষণার কোনো বিকল্প নেই।