‘সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলের অর্থ ফেরত আনতে পারলে অন্যদের কেন পারব না?’
‘সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলের বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে পারলে অন্যদের অর্থ কেন আনতে পারব না? ২০০৭-০৮ সালের দিকে অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, ২০১২ সালে সেই অর্থ ফেরত আসে। তখনকার ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছিল বলেই অর্থ ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে।’
আজ শনিবার সন্ধ্যায় ‘উন্নয়নশীল দেশের সম্পদ পাচার’ শীর্ষক এক অনলাইন আলোচনায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোনমিকস স্টাডি সেন্টার এই সভার আয়োজন করে।
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘এখন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে সেই সদিচ্ছা নেই। তাই পাচার করা টাকা ফেরত আনা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, জাতীয় সংসদে ৬২ শতাংশ ব্যবসায়ী। তাঁরা কোনো না কোনোভাবে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।’ টাকা ফেরত আনতে রাজনৈতিক সদিচ্ছার পাশাপাশি সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে শক্তিশালী ও স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
একই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, কালোটাকার মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বলে টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। বিদেশে টাকা পাচার কমাতে না পারলে সামাজিক বৈষম্য কমানো যাবে না। এতে সামাজিক অস্থিরতা বাড়বে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক আসিফ ইকবাল বলেন, সরকারি সংস্থাগুলো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তথ্য-উপাত্ত মানতে চায় না। কিন্তু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তথ্য-উপাত্ত মানা জরুরি। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও সঠিকভাবে যেকোনো বিষয়ের তথ্য-উপাত্ত দিতে পারে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) অর্থনীতিবিদ রবিউল ইসলাম।