টেকসই ব্যবসা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করল প্রাণ-আরএফএল

প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম ও বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাস।বিজ্ঞপ্তি

দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী প্রাণ-আরএফএল এই প্রথম সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট বা টেকসই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ২০২৩ সালের কর্মকাণ্ডের ভিত্তিতে প্রণীত এই প্রতিবেদনে সবার জন্য টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার পাশাপাশি সমাজের কল্যাণ নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।

‘সমৃদ্ধ আগামীর লক্ষ্যে, জীবনের পরিচর্যা’শীর্ষক এই প্রতিবেদনে আটটি মৌলিক স্তম্ভের ওপর প্রতিষ্ঠিত প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের টেকসই কৌশল তুলে ধরা হয়েছে। আটটি মৌলিক স্তম্ভের মধ্যে আছে টেকসই পণ্য, টেকসই প্যাকেজিং, কৃষি, পানি ও জ্বালানি। ব্যবসায়িক অগ্রাধিকার ও টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রাণ-আরএফএলের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে, এগুলো তার প্রতিফলন। খবর বিজ্ঞপ্তি।

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত প্রতিবেদনটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম ও বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাস। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিবেশগত ও সামাজিক দায়বদ্ধতার এ যাত্রার গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে সরকারের নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ অংশীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের টেকসই কৌশলে বলা হয়েছে, বিশ্বকে সমৃদ্ধ করার জন্য দরকার উদ্ভাবন। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনুপ্রেরণা গ্রহণ করে ভবিষ্যতের জন্য আরও ভালো, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই ব্যবসায়িক মডেল প্রণয়নে গ্রুপটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

টেকসই উন্নয়নবিষয়ক প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের লক্ষ্যগুলোর মধ্যে আছে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ১০০ শতাংশ বিনিয়োগ করা, ২০৩০ সালের মধ্যে শতভাগ প্লাস্টিক রিসাইক্লিং করা, কৃষিপণ্য ও দুগ্ধজাত পণ্যের ৯০ শতাংশ কাঁচামাল স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা, সব কারখানায় পানির ব্যবহার ৩০ শতাংশ হ্রাস করা, জ্বালানির ব্যবহার ২০ শতাংশ হ্রাস ও কারখানায় ব্যবহৃত মোট জ্বালানির ২৫ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদন করা।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শফিকুল আলম প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে সাসটেইনেবিলিটির তাৎপর্য তুলে ধরেন তিনি। বলেন, ‘এই প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে প্রাণ-আরএফএল করপোরেট খাতের জন্য প্রশংসনীয় নজির স্থাপন করেছে। এর মাধ্যমে সমাজের জন্য দীর্ঘমেয়াদি মূল্য তৈরি করার পাশাপাশি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদের চিন্তাভাবনার প্রতিফলন ঘটেছে।’

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘এই প্রতিবেদন টেকসই উন্নয়নের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের টেকসই যাত্রায় এটি যুগান্তকারী মুহূর্ত। পুরো প্রতিবেদনে “সমৃদ্ধ আগামীর লক্ষ্যে, জীবনের পরিচর্যা”শীর্ষক প্রতিপাদ্যের প্রতিফলন ঘটেছে; ব্যাপক পরিসরে জীবিকা তৈরির পাশাপাশি একটি পরিচ্ছন্ন ও সবুজ বিশ্বে অবদান রাখার জন্য আমরা যে পথ নির্ধারণ করেছি, তা চমৎকারভাবে তুলে ধরা হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে ‘টেকসই কৃষি: চ্যালেঞ্জ এবং করণীয়’ ও ‘সাসটেইনেবিলিটি অর্জনে করপোরেট নেতৃত্বের ভূমিকা’শীর্ষক দুটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা ব্যবসা করার ক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়নের গুরুত্ব এবং তা নিশ্চিত করতে অংশীজনদের ভূমিকা তুলে ধরেন।