জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক, তাঁর স্ত্রী ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব স্থগিত

জুনাইদ আহ্‌মেদ পলকফাইল ছবি

সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক, তাঁর স্ত্রী, পরিবার ও তাঁদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বিএফআইইউ এ নির্দেশ দিয়েছে। সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ নির্দেশনা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক, তাঁর স্ত্রী আরিফা জেসমিন কনিকা, তাঁদের পরিবারের সদস্য ও তাঁদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামে কোনো ব্যাংক হিসাব পরিচালিত হলে আগামী ৩০ দিনের জন্য সেগুলোর লেনদেন স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়া হলো। অর্থ পাচার নিরোধসংক্রান্ত ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী এ আদেশ দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় বিএফআইইউ আরও বলেছে, কোনো হিসাব স্থগিত করা হলে হিসাবসংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল, যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাদের কাছে পাঠানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে।

লেনদেন স্থগিত করার এই নির্দেশের ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯-এর ২৬ (২) ধারা প্রযোজ্য হবে বলে বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর গতকাল সোমবার তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ও তাঁর স্ত্রীর হিসাব স্থগিতের আদেশ দেওয়া হয়।

জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক নাটোরের একটি আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে দেশ ছাড়ার পর সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীকে বিমানবন্দর হয়ে বিদেশে পালানোর সময় আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী সময়ে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবির কর্মসূচি চলাকালে সরকারি দুই সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দিত। এমনকি তখনকার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলকও সরাসরি ফোন করে ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।