কর্মজীবী ও প্রযুক্তিপ্রেমী গ্রাহকেরা স্মার্ট এসির প্রতিই বেশি আকৃষ্ট হচ্ছেন

প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে এয়ারকন্ডিশনার বা এসিও হয়ে উঠছে আরও ‘স্মার্ট’। ওয়াই–ফাই নিয়ন্ত্রণ, ভয়েস কমান্ড, স্বয়ংক্রিয় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে পরিচালনা—এসব ফিচার এখন অনেক স্মার্ট এসিতেই পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি বেশ কিছু এসিতে এখন রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিও। এসব বিষয়েই প্রথম আলো ডটকমের সঙ্গে কথা বলেছেন সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের মার্কেটিং ডিরেক্টর শাব্বির হোসেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তারেক মাহমুদ নিজামী

প্রথম আলো:

‘স্মার্ট এসি’ এখন বহুল পরিচিত পণ্য। এ ধরনের এসির গ্রাহক-চাহিদা কেমন?

শাব্বির হোসেন: প্রযুক্তিনির্ভর এই যুগে গ্রাহকেরা এমন পণ্য পছন্দ করছেন, যা তাঁদের জীবনকে আরও সহজ ও স্মার্ট করে তুলবে। স্মার্টফোন বা ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত এসিগুলোর প্রতি ক্রমেই আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে, কর্মজীবী ও প্রযুক্তিপ্রেমী গ্রাহকেরা স্মার্ট এসির প্রতি বেশি আকৃষ্ট হচ্ছেন, কারণ এটি ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণকে আরও সহজ করে তোলে।

প্রথম আলো:

সাধারণ এসির সঙ্গে স্মার্ট এসির দামসহ অন্যান্য পার্থক্য কী?

শাব্বির হোসেন: সাধারণ এসির তুলনায় স্মার্ট এসিগুলোতে বাড়তি প্রযুক্তি যুক্ত থাকে। যেমন ওয়াই–ফাই নিয়ন্ত্রণ, ভয়েস কমান্ড, স্বয়ংক্রিয় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি। ফলে এগুলোর দাম কিছুটা বেশি হয়। তবে দীর্ঘ মেয়াদে স্মার্ট এসি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হওয়ায় এবং সহজ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার কারণে এটি একটি ভালো বিনিয়োগ হয়ে ওঠে।

প্রথম আলো:

আপনাদের ব্র্যান্ডের এসিগুলোতে কী ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার হয় এবং গ্রাহকদের চাহিদা কেমন?

শাব্বির হোসেন: বেকো স্মার্ট এসিগুলোতে ইন্টেলিজেন্ট কুলিং টেকনোলজি, ওয়াই–ফাই রিমোট কন্ট্রোল এবং স্বয়ংক্রিয় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা রয়েছে। তাপমাত্রার পরিবর্তন অনুযায়ী এসি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে, যা বিদ্যুৎ খরচ কমায় এবং দীর্ঘস্থায়ী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। গ্রাহকেরা এখন শুধু ঠান্ডা বাতাসই নয়, বরং স্মার্ট ব্যবস্থাপনার দিকেও নজর দিচ্ছেন। তাই স্মার্ট এসিগুলোর চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে।

প্রথম আলো:

স্মার্ট এসিতে কি এয়ার পিউরিফিকেশন বা অন্যান্য স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট ফিচার থাকে? এসব এসির স্থায়িত্ব ও দীর্ঘমেয়াদি সেবা কীভাবে নিশ্চিত করা যায়?

শাব্বির হোসেন: হ্যাঁ, স্মার্ট এসিগুলোতে এয়ার পিউরিফায়ার ফিল্টার থাকে, যা বাতাস থেকে ধুলো, ব্যাকটেরিয়া ও অ্যালার্জেন দূর করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয় ক্লিনিং ফিচার থাকায় এসির অভ্যন্তরীণ অংশ পরিষ্কার থাকে, যা দীর্ঘমেয়াদে কার্যক্ষমতা বজায় রাখে। সঠিকভাবে ব্যবহার ও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করলে স্মার্ট এসি দীর্ঘস্থায়ী হয়। এ ধরনের স্মার্ট ও স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট সব ফিচারই আমাদের বেকো এসিতে রয়েছে।

অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ফিচার–সংবলিত স্মার্ট এসি পাওয়া যাচ্ছে
প্রথম আলো:

স্মার্ট এসির ব্যবহার দৈনন্দিন জীবনকে কীভাবে সহজ করে?

শাব্বির হোসেন: এটি আসলে নানাভাবে হয়। যেমন আমাদের বেকো স্মার্ট এসিগুলো হোমউইজ (HomeWhiz) অ্যাপের মাধ্যমে যেকোনো সময়, যেকোনো স্থান থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারী যেকোনো জায়গা থেকে এসি চালু বা বন্ধ করতে পারেন, তাপমাত্রা নির্ধারণ করতে পারেন এবং অন্যান্য সেটিংস কাস্টমাইজ করতে পারেন। ফলে, ঘরে প্রবেশের আগেই এসি চালিয়ে রাখা যায়, যা আরও আরামদায়ক ও স্বাচ্ছন্দ্যময় অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। আমি মনে করি, এসিতে থাকা এ ধরনের সুবিধা জীবনকে সহজতর করে।

প্রথম আলো:

ভবিষ্যতে স্মার্ট এসিতে নতুন কী ধরনের চমকপ্রদ ফিচার বা প্রযুক্তি সংযোজন হতে পারে বলে আপনি মনে করেন?

শাব্বির হোসেন: ভবিষ্যতে এআই-বেজড টেম্পারেচার কন্ট্রোল, ভয়েস রিকগনিশন আপগ্রেড এবং সোলার পাওয়ার ইন্টিগ্রেশন আসতে পারে। বর্তমানে আমরাও গবেষণা করছি এমন প্রযুক্তির ওপর, যেখানে এসি ঘরের সদস্যদের উপস্থিতি বুঝে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু বা বন্ধ হবে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে ব্যক্তিগত শীতলীকরণ অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।

প্রথম আলো:

প্রথপ্রথম আলো ডটকম আয়োজিত এসি মেলায় আপনারা অংশ নিয়েছেন। পাঠক এবং আপনাদের গ্রাহকদের উদ্দেশে কী বলার আছে?

শাব্বির হোসেন: অনলাইন এসি মেলায় আমাদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত আনন্দের। আমরা আশা করি, এই আয়োজনের মাধ্যমে পাঠক ও গ্রাহকেরা আমাদের বেকো স্মার্ট এসির উদ্ভাবনী ফিচারগুলোর সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন এবং সিঙ্গার বাংলাদেশের আকর্ষণীয় অফারগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন।

প্রথম আলো:

আপনাকে ধন্যবাদ।

শাব্বির হোসেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।