রয়টার্স গ্লোবাল এনার্জি ট্রানজিশন অ্যাওয়ার্ড পেল সামিট-ফ্রেন্ডশিপ সোলার ভিলেজ

গাইবান্ধা জেলায় অবস্থিত ‘সামিট-ফ্রেন্ডশিপ সোলার ভিলেজ’ প্রকল্পটি রয়টার্স গ্লোবাল এনার্জি ট্রানজিশন অ্যাওয়ার্ড ২০২৪-এর ‘প্রজেক্ট অব ইমপ্যাক্ট’ শ্রেণিতে পুরস্কৃত হয়েছে। গত ২৫ জুন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশ্বের ৫০০ প্রতিযোগীর মধ্যে অন্যতম সেরা হিসেবে এই পুরস্কার পেয়েছে সামিট-ফ্রেন্ডশিপ সোলার ভিলেজ।

সামিট-ফ্রেন্ডশিপ সোলার ভিলেজ প্রকল্পে ৫৭ দশমিক ৬ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সোলার মাইক্রোগ্রিডের মাধ্যমে গাইবান্ধা জেলার প্রত্যন্ত চর কাবিলপুরের তিন হাজার মানুষ বিদ্যুতের সুবিধা পাচ্ছেন। এতে পার্শ্ববর্তী ব্রহ্মপুত্র নদের অন্যান্য চরাঞ্চলের জন্য এটি একটি ব্যবসায়িক ও সেবা কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। সামিট করপোরেশনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান বলেন, ‘বাংলাদেশের অবকাঠামো তথা বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ খাতে সামিট শতভাগ সেবা দিতে চায়। বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডের আওতার বাইরে যেসব চর এলাকা আছে, তাদেরও বিদ্যুতের সেবা প্রাপ্য। আন্তর্জাতিকভাবে পুরস্কৃত ফ্রেন্ডশিপ এনজিও অসাধারণ কাজ করে যাচ্ছে। ফ্রেন্ডশিপের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে চর কাবিলপুরের তিন হাজার মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে পেরে আমি ধন্য।’

ফ্রেন্ডশিপের প্রতিষ্ঠাতা রুনা খান বলেন, ‘শক্তিশালী যমুনা নদীর উত্তাল রূপ যিনি দেখেছেন, তিনিই বুঝতে পারবেন যে জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন এখানে নিয়ে আসা সম্ভব নয়। অন্যদিকে সৌরভিত্তিক এ গ্রিডটি মানুষের জীবনমান উন্নত করবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে ও শিশুদের শিক্ষা ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে। এভাবে আমাদের পাশে থাকার জন্য সামিটকে ধন্যবাদ জানাই।’

সৌর প্রকল্পটি বিচ্ছিন্ন একটি জনপদের মানুষের দৈনন্দিন জীবনে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেছে। এতে ওই অঞ্চলের মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্য, পড়াশোনাসহ গৃহস্থালি কাজ সহজ ও দ্রুত সম্পন্ন করতে পারছেন। এ ছাড়া নবায়নযোগ্য সৌরবিদ্যুৎ মানেই জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা হ্রাস করা। যেমন কেরোসিন তেল পুড়িয়ে বাতি জ্বালালে একদিকে যেমন বিষাক্ত ধোঁয়া নির্গত হয়, অন্যদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি থাকে।