বিশ্বজুড়ে বিমান পরিবহণ খাতের হাজার হাজার চাকরি ঝুঁকিতে
করোনার কোপে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিমান পরিবহন খাত। বিশ্বব্যাপী এ খাতে হাজার হাজার কর্মসংস্থান ঝুঁকিতে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থা (আইএটিএ)। করোনার কারণে এ বছরের গ্রীষ্ম মৌসুমটের তিক্ত পরিণতি হয়েছে। এ কারণে ২০২০ সালের ভ্রমণ পরিবহন পূর্বাভাস কমিয়েছে তারা। ২৯০টি বিমান সংস্থার এই সংগঠন বলছে, ২০১৯ সালের চেয়ে এ বছর ৬৬ শতাংশ পরিবহন কম হবে। এ ছাড়া করোনা পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরতে অন্তত ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে বলে মনে করছে তারা। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
করোনার দ্বিতীয় দফা ঢেউ লক্ষ করা যাচ্ছে অনেক দেশেই। সংক্রমণ প্রতিরোধে অনেক দেশই আবার জনগণের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করছে। ফলে এটা বলাই যাচ্ছে যে, এই খাত অতি শিগগিরই ঘুরে দাঁড়াচ্ছে না। মার্চ থেকে করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করায় এ শিল্প মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ে। বছর জুড়েই বড় বড় এয়ারলাইনস, বিমানবন্দর এবং ট্যুর সংস্থাগুলি সম্মিলিতভাবে হাজার হাজার কর্মসংস্থান ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে।
আইএটিএর প্রধান নির্বাহী আলেক্সান্ডার জুনিয়াক বলেন, বাড়তি সরকারি প্রণোদনা ব্যতীত ও সীমানা পুনরায় না খুললে কয়েক হাজার বিমান সংস্থার কাজ অদৃশ্য হয়ে যাবে।
চলতি মাসের শুরুতে ভার্জিন এয়ারলাইনস জানায় আরও ১ হাজার ১৫০ কর্মী ছাঁটাই ছাঁটাই করবে তারা। চলতি বছরের শুরুতে এটি সাড়ে তিন হাজার কর্মী ছাঁটাই করে। কেন এই ছাঁটাই সেই প্রশ্নের উত্তরে বিমান সংস্থাটি জানায়, টিকে থাকতে এটি করতে হচ্ছে তাদের। অন্তত ১৮ মাস ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে এই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে তাদের।
গত মাসে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমান সংস্থা আমেরিকান এয়ারলাইনস জানায় অক্টোবরে মধ্যে ১৯ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে তারা। অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি সহায়তা পাবে তারা। তাই অক্টোবরের পরে কর্মী ছাঁটাইয়ে বাধ্য হচ্ছে বিমান সংস্থাটি। যে কর্মসংস্থান ছাঁটাই হচ্ছে, তা করোনার পূর্ববর্তী অবস্থার প্রায় ৩০ শতাংশ। এর আগে চলতি বছরে ইউনাইটেড এয়ারলাইনস জানায়, তাদের ৩৬ হাজার কর্মসংস্থান ঝুঁকিতে আছে। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ জানিয়েছে ১৩ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে তারা। কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে জার্মানির এয়ারলাইনসও।