বিটকয়েন দিয়ে টেসলার মুনাফা বাড়ল ১০০ কোটি ডলার
বিটকয়েনের দাম তরতর করে বেড়ে চলেছে। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী গতকাল রোববার বিটকয়েনের মূল্য ৫৮ হাজার মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। জানুয়ারির শুরু থেকে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি ৯০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। এর মোট বাজারমূল্য এক ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
এদিকে বিটকয়েনের দর বাড়ায় বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলার হয়েছে পোয়াবারো। জানুয়ারিতে বিটকয়েনে দেড় শ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেন টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক। সে সময় কোম্পানির একটি আর্থিক নথিতে দেখা যায়, কোম্পানিটি বিনিয়োগের নীতিমালা হালনাগাদ করেছে। আর এর অংশ হিসেবেই বিটকয়েনে এই বিপুল বিনিয়োগ। সেই সঙ্গে ডিজিটাল মুদ্রাব্যবস্থাকে কোম্পানির লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণেরও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। পরে এ কদিনেই কাগজে–কলমে প্রায় ১০০ কোটি ডলার মুনাফা করে ফেলেছে কোম্পানিটি।
বলা হয়, ২০০৮ সালের শেষের দিকে জাপানের নাগরিক সাতোশি নাকামোতো নামের এক ব্যক্তি এই ‘ক্রিপ্টোকারেন্সির’ উদ্ভাবন করেন। যদিও এই ব্যক্তির আসল নাম বা পরিচয় এখনো জানা যায়নি। নতুন এই ভার্চুয়াল মুদ্রার নাম হয় বিটকয়েন। ২০১৩ সালের দিকে এই মুদ্রার দাম ১০ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার পর জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি নিউজ সাইট কয়েনডেস্কের তথ্য অনুযায়ী, বিটকয়েন এ বছর ২৮ হাজার ৯০০ ডলারে শুরু করেছিল। জানুয়ারির শুরুতে দাম ৪০ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যায়। পরে আবার কমে ৩০ হাজারে নামে। পরে টেসলার বিনিয়োগের পর আবারও বাড়তে থাকে দাম। ১৬ ফেব্রুয়ারি ৫০ হাজার ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করে বিটকয়েন।
ইলন মাস্ককে ডিজিটাল মুদ্রার একজন অন্যতম প্রবক্তা বলা হয়।
২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে বিশ্ব মুদ্রাবাজারে বিটকয়েনের আবির্ভাব ঘটে ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে। লেনদেন পুরোটাই ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে বা অনলাইনে। এরপর অনেকবারই ওঠানামা করেছে এর দর। বিটকয়েন মার্কিন ডলার এবং পাউন্ড-স্টার্লিংয়ের মতোই একইভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগ হচ্ছে।
সম্প্রতি ডিজিটাল মুদ্রার অন্যতম বড় লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান পেপালসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অনলাইনে পেমেন্ট ফর্মের সমর্থন পেয়েছে। এতে করে মুদ্রাটির লেনদেন আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।