পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা আনতে বিবৃতি জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় অর্থনীতি নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। ছবি: রয়টার্স
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় অর্থনীতি নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। ছবি: রয়টার্স

পুঁজিবাজারের দরপতন ঠেকাতে অবশেষে এগিয়ে এল জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পুঁজিবাজারে সহায়তা করা হবে—এমনটা জানিয়ে গতকাল এক জরুরি বিবৃতি দেন ব্যাংক অব জাপানের গভর্নর হারুহিকো কুরোদা। পুঁজিবাজারে আস্থা ফেরাতে এর আগে এমন পদক্ষেপ খুব বেশি নিতে দেখা যায়নি জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে।

এতে আজ সোমবার লেনদেনের শুরুতে একটু ঘুরে দাঁড়ায় এশিয়ার পুঁজিবাজার। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় অর্থনীতির কী গতি হতে পারে, এমন অনিশ্চয়তায় অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক বাজারগুলো অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। গভর্নর বলেন, ব্যাংক অব জাপান উন্নয়নগুলো সাবধানতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করবে এবং বাজার কার্যক্রম স্থিতিশীল করতে সম্পদ ক্রয়ের মাধ্যমে পর্যাপ্ত তারল্য সরবরাহ করার চেষ্টা করবে।

বিবৃতিটি অনেকটা এমন যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারে তহবিল সরবরাহের জন্য অন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা বিবেচনা করার আগে বিদ্যমান ব্যবস্থাগুলোর সম্পূর্ণ ব্যবহার করতে প্রস্তুত। এর আগে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান জেরোমি পাওয়েল এক বিবৃতিতে বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মার্কিন অর্থনীতির ঝুঁকির বিষয়টি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।

চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে উৎপত্তি হওয়া করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এখন চড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের প্রায় ৩৩টি দেশে। মৃত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩ হাজার। সেই সঙ্গে বিশ্ব অর্থনীতি নিয়েও তৈরি হয়েছে বড় শঙ্কা। গত শনিবার চীনের সরকারি পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়। এতে দেখা যায়, ফেব্রুয়ারিতে চীনের পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স (পিএমআই) রেকর্ড পরিমাণ কমে ৩৫ দশমিক ৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এই সূচকটি চীনের উৎপাদন কার্যক্রমের মূল অবস্থা নির্দেশ করে। ২০০৫ সাল থেকে এটি নির্ধারণ করা শুরু করে চীন। পিএমআই ৫০ পয়েন্টের নিচে থাকলে তা সংকোচন এবং ওপরে থাকলে সম্প্রসারণ নির্দেশ করে। জানুয়ারিতে এটি ৫০ পয়েন্টের নিচে নেমে আসে। ফেব্রুয়ারিতে অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।

গত সপ্তাহে এই মহামারি নিয়ে উদ্বেগে বিশ্বব্যাপী শেয়ারবাজারগুলো প্রায় ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের মূল্য হারিয়েছে।