ডিনারের টেবিলে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিলেন বাফেট

ওয়ারেন বাফেট

অ্যালেঘানি ইনকরপোরেশন নামের নতুন এক কোম্পানি কিনে নিয়েছে বার্কশায়ার হাথাওয়ে। তবে কোম্পানির নাম নেওয়া হলে অনেকের কাছেই তা কিছুটা অপরিচিত লাগতে পারে, কোম্পানির প্রধান নির্বাহীর নাম নিলে চেনাটা সহজ হয়। তিনি আর কেউ নন, ‘বিনিয়োগ গুরু’খ্যাত ওয়ারেন বাফেট।

এই বিনিয়োগের আরেকটি বিশেষত্ব হলো, নিউইয়র্কের একটি রেস্তোরাঁয় ডিনার বা রাতের খাবার খেতে খেতে এই বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, গত ৭ মার্চ ওয়ারেন বাফেট অ্যালেঘানি ইনকরপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জোসেফ ব্র্যানডনের সঙ্গে খাবার খেতে খেতে এই সিদ্ধান্ত নেন।

ডিনারে ঠিক হয়েছে, ওয়ারেন বাফেট প্রতিটি শেয়ারের দাম দেবেন ৮৫০ ডলার। তাতে সব মিলিয়ে বাফেটের কোম্পানি অ্যালেঘানিতে ১১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার বা ১ হাজার ১৬০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। ফলে গত কয়েক বছরে এটি বার্কশায়ারের অন্যতম বৃহৎ অধিগ্রহণ বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে তারা অক্সিডেন্টাল পেট্রোলিয়াম করপোরেশনেও বিনিয়োগ করেছে।

আলোচনায় ঠিক হয়েছে, আর্থিক উপদেষ্টাদের প্রদেয় মাশুল এই বিনিয়োগের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে না।

বিনিয়োগের ব্যাপারে ওয়ারেন বাফেট অনেক হিসেবি হলেও দানধ্যানেও তিনি কম যান না। গত ১৫ বছরে নিজের সম্পত্তি থেকে ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ বিভিন্ন সংস্থায় দান করেছেন তিনি। বার্কশায়ার হাথাওয়ের সব শেয়ারও দান করার ইচ্ছা আছে তাঁর। তবে এখন পর্যন্ত সেই লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক পূরণ হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

বিশ্বের ধনীতম সিইওদের মধ্যে তিনি অন্যতম। তা সত্ত্বেও এখনো ১৯৫৮ সালে ৩২ হাজার ডলারের বাড়িতেই থাকেন তিনি। এমনকি নিজে মিনিট পাঁচেক গাড়ি চালিয়ে কর্মক্ষেত্র থেকে ম্যাকডোনাল্ডসে খাবার খেতে যান শুধু কিছু টাকা বাঁচানোর জন্য।