এমজিএম কিনে নিল আমাজন
৮৪৫ কোটি ডলারে হলিউডের বিখ্যাত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মেট্রো গোল্ডউইন মেয়ার (এমজিএম) কিনে নিচ্ছে জেফ বেজোসের আমাজন। এর মাধ্যমে আমাজনের প্রাইম স্ট্রিমিং সেবা এমজিএমের পুরোনো ক্যাটালগের এক বিশাল সম্ভার হাতে পাবে।
গতকাল বুধবার আমাজনের এক নির্বাহী বলেন, এটি খুবই অসাধারণ হবে। উচ্চমানের গল্পগুলো তুলে ধরার চমৎকার একটি সুযোগ।
আমাজন প্রাইম ভিডিওর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং আমাজন স্টুডিওর প্রধান মাইক হপকিন্স বলেন, ‘এই ক্রয়ের প্রধান আর্থিক মূল্য হচ্ছে মেধাভিত্তিক সম্পদের এক বিশাল সম্ভার, যা আমরা এমজিএমের অসম্ভব মেধাবী দলের সঙ্গে একত্র হয়ে নতুন কল্পনায় গড়ে তুলব।’
এই চুক্তির ফলে আমাজনের প্রাইম ভিডিওর তালিকায় ‘জেমস বন্ড’ সিরিজ, প্রায় ১৭ হাজার টেলিভিশন অনুষ্ঠানসহ যোগ হবে প্রায় চার হাজার চলচ্চিত্র।
১৯২৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই স্টুডিও। এর লোগো ও সিংহের গর্জনের প্রতীক ব্যাপকভাবে পরিচিত। প্রায় ১০ দশক ধরে অনেক জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ও টিভি সিরিয়াল প্রযোজনা বা বাজারজাত করেছে এমজিএম। এর মধ্যে আছে ‘লিগ্যালি ব্লন্ড’ ও ‘আ স্টার ইজ বর্ন’-এর মতো জনপ্রিয় সব নাম। তবে ‘জেমস বন্ড’ চলচ্চিত্রের জন্য এমজিএম সবচেয়ে বিখ্যাত।
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এমজিএম আয় করে ২ কোটি ৩০ লাখ ডলার। এরপর করোনার কারণে এই স্টুডিও থেকে নতুন কোনো ছবি মুক্তি পায়নি। এর মধ্যে কয়েকবার পিছিয়েছে ‘জেমস বন্ড’ সিরিজের ২৫তম ছবি ‘নো টাইম টু ডাই'।
‘নো টাইম টু ডাই’ সিনেমার নির্মাতা বলেছেন, ‘এই চুক্তি সিনেমাটি মুক্তির বিষয়ে কোনো প্রভাব ফেলবে না। আমরা বিশ্বব্যাপী দর্শকদের জন্য “জেমস বন্ড” চলচ্চিত্র নির্মাণ অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এমজিএমের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান কেভিন আলরিচ বলেছেন, ‘আমি অত্যন্ত গর্বিত যে এমজিএমের সিংহ, যেটি দীর্ঘকাল ধরে হলিউডের স্বর্ণযুগকে তুলে ধরছে, সেটি তার ইতিহাস ধরে রাখবে।’