চলে গেলেন ‘দরিদ্রের কণ্ঠস্বর’ উলফেনসন
চলে গেলেন ‘দরিদ্রের কণ্ঠস্বর’ খ্যাত বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রেসিডেন্ট জেমস ডি উলফেনসন। গত মঙ্গলবার নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে মারা যান তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। গতকাল বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। উলফেনসন ছিলেন এমন একজন বিনিয়োগ ব্যাংকার, যিনি এক দশক ধরে বিশ্বব্যাংকের সবচেয়ে দরিদ্রতম দেশগুলোর ঋণ মওকুফে কাজ করেছেন।
অস্ট্রেলিয়ায় জন্মগ্রহণ করা উলফেনসন ১৯৮০ সালে মার্কিন নাগরিকত্ব পান। সলোম্যান ব্রাদার্সের সাবেক অংশীদার উলফেনসনকে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত করেন সে সময়ের প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। ১৯৯৫ সালের মে থেকে ২০০৫ সালে জুন পর্যন্ত সে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে মিলে ১৯৯৯ সালে উলফেনসন ‘হেভিলি ইনডেবটেড পুওর কান্ট্রিজ ইনিশিয়েটিভের’ সূচনা করেন, যার মাধ্যমে বিশ্বের ২৭টি দরিদ্র দেশের ৫৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ মওকুফ করা হয়।
উলফেনসন তাঁর জীবনের বেশির ভাগ সময় যুক্তরাষ্ট্রে কাটিয়েছেন। তিনি ১৯৫৭ সালে হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে পড়াশোনা করেন। সেখান থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতকোত্তর করেন।
বিশ্বব্যাংকের নবম প্রেসিডেন্ট হলেন জেমস ডেভিড উলফেনসন। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ সফরেও এসেছিলেন উলফেনসন।
তাঁর মৃত্যুর গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস। শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেছেন, উলফেনসন দারিদ্র্য দূর করতে এবং দুর্নীতি রোধে তার প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করেছেন। তিনি গরীবদের পক্ষে কথা বলেছেন।
শোক জানিয়েছেন সংস্থাটির বর্তমান প্রধান নির্বাহী ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘তিনি অনেকের মতো আমার কাছেও নায়ক ছিলেন। জিম উন্নয়নের বিশ্বকে রূপান্তরিত করেছিলেন আর তিনি বিশ্বব্যাংককে। সেই হিসেবে তিনি আক্ষরিক অর্থেই এই বিশ্বে দরিদ্র মানুষের জন্য কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠেন।’