ইউরোপে যুক্তরাজ্যের খাদ্য ও পানীয় রপ্তানি কমে অর্ধেক
ইউরোপে যুক্তরাজ্যের খাদ্য পানীয় রপ্তানি প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। ২০২০ সালের চেয়ে এ বছরের প্রথম মাসে ইউরোপে খাদ্য ও পানীয় রপ্তানি কমেছে ৪৭ শতাংশ। আজ শুক্রবার যুক্তরাজ্যে ফুড অ্যান্ড ড্রিংক ফেডারেশনের (এফডিএফ) প্রকাশিত পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বাণিজ্য সংস্থাটি বলছে, রপ্তানি কমেছে মূলত যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়িক সম্পর্কের পরিবর্তনের কারণে, তবে মহামারিটিও একটি কারণ। সরকার বলছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদের (ব্রেক্সিট) দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে কোনো উপসংহারে যাওয়ার এখনো সময় হয়নি। কারণ মহামারিও চাহিদা ব্যাপক কমিয়েছে।
ইইউর সঙ্গে নতুন বাণিজ্য বাধার কারণে দীর্ঘ মেয়াদে যুক্তরাজ্যের উৎপাদনকারীরা যে পরিমাণ ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছেন, তা এই পরিসংখ্যান থেকে খুবই স্পষ্ট। এফডিএফ বলছে, নতুন বাণিজ্য বাধার পাশাপাশি কোভিড একটি বড় কারণ। বলা যায় কেবল কোভিডের কারণে রপ্তানি কমেছে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় পনির রপ্তানি কমেছে ৭২ শতাংশ। মাছ বিক্রি কমেছে ৫২ শতাংশ ও চকলেট রপ্তানি কমেছে ৩৭ শতাংশ। এ থেকে স্পষ্টত যে কোভিডের একটি প্রভাব রয়েছে।
সবচেয়ে কমেছে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্য-খাদ্য ও পানীয় খাতে যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম বাজার হলো এটি। গত বছরের তুলনায় প্রথম প্রান্তিকে এখানে রপ্তানি প্রায় ৭০ শতাংশ কমেছে। জার্মানি, স্পেন ও ইতালিতে বিক্রি অর্ধেকের চেয়ে বেশি কমেছে।
কয়েক দশক ধরে যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে বিশ্বের অন্য দেশের চেয়ে বেশি খাবার এবং পানীয় বিক্রি করে। এফডিএফ বলছে, গত ২০ বছরের মধ্যে এই প্রথম এতটা কমল রপ্তানি।