ট্রাম্পের জ্বালানি নীতিকে সমর্থন করছেন রাশিয়ার বৃহত্তম তেল কোম্পানির প্রধান

ডোনাল্ড ট্রাম্পফাইল ছবি: এএফপি

রাশিয়ার সবচেয়ে বড় জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রসনেফটের প্রধান ইগর সেচিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের তেল কোম্পানিগুলোকে সুরক্ষা দিতে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তা তিনি সমর্থন করেন।

কাতারে একটি সম্মেলনে গতকাল শনিবার ইগর সেচিন বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প ‘যথাযথ’ অর্থনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে নিজ দেশের জ্বালানি উৎপাদনকারী কোম্পানি ও বাজারকে সুরক্ষা দেওয়া।

ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন। তাঁর আবারও মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের বিষয়ে রাশিয়ায় অনেকেই সতর্কভাবে আশাবাদী। তবে মস্কোতে কেউ কেউ এমনও মনে করেন যে তিনি প্রেসিডেন্ট হলেও রাশিয়ার ক্ষেত্রে মার্কিন দৃষ্টিভঙ্গি খুব একটা পাল্টাবে না।

বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক শীতল যুদ্ধের পর সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় নেমে গেছে। বেশ কিছু ইস্যুর কারণে দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে, যার একটি হলো ইউক্রেনে চলমান সংঘাত।

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরপরই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। একজন বন্দুকধারী যখন রিপাবলিকান প্রার্থীকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল, তখন তিনি যে সাহস দেখিয়েছেন, এর প্রশংসা করেছেন রাশিয়ার নেতা। পুতিন বলেছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করতে মস্কো প্রস্তুত রয়েছে।

গত মাসে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় তিন বাণিজ্য অংশীদারের ওপর শুল্ক বেশ অনেকটা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ তিন দেশ হলো কানাডা, মেক্সিকো ও চীন। ট্রাম্প জানিছেন, কীভাবে তিনি তাঁর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবেন। তবে এই পদক্ষেপ বাস্তবে রূপ পেলে তা একটি নতুন বাণিজ্যযুদ্ধের সূচনা করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইগর সেচিন বলেন, ‘এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই যে কানাডা, মেক্সিকো, চীন ও ইউরোপকে ভুগতে হবে। মনে রাখতে হবে, ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, মেক্সিকো কিংবা কানাডার নন।’

নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প দেশের ভেতরে তেল ও গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ইগর সেচিন বলেন, ট্রাম্প সম্ভবত হাইড্রোকার্বন উৎপাদনের ওপর বিদ্যমান সব বিধিনিষেধ তুলে নেবেন, কর কমাবেন এবং বিকল্প জ্বালানির ‘বিভ্রম’ থেকে ‘সত্যিকার’ জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করবেন।