বৈদ্যুতিক গাড়ির দুনিয়ায় চীনের শাওমি

প্রথমবারের মতো বৈদ্যুতিক গাড়ির একটি মডেল উন্মোচন করেছে শাওমি।ছবি: রয়টার্স

চীনা স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান শাওমি বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। প্রথমবারের মতো বৈদ্যুতিক গাড়ির একটি মডেল উন্মোচন করেছে তারা। শাওমি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে তারা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শাওমির বৈদ্যুতিক গাড়ির নতুন মডেল উন্মোচিত হলেও গাড়িটি বাজারে বিক্রি শুরু হতে আরও কয়েক মাস লাগবে। তবে তারা এমন সময়ে গাড়িটি বাজারে আনছে, যখন বিশ্বের বৃহত্তম গাড়ির বাজার চীনের উৎপাদনক্ষমতা বাড়লেও মূল্যযুদ্ধের কারণে চাহিদা কমে যাচ্ছে।

শাওমির প্রধান নির্বাহী লেই জুন জানিয়েছেন, তাঁদের বৈদ্যুতিক গাড়িটিতে ‘সুপার বৈদ্যুতিক মোটর’ প্রযুক্তি আছে, যা টেসলা ও পোরশের ইভির চেয়েও দ্রুত গতি সরবরাহ করতে সক্ষম। তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ১৫ থেকে ২০ বছর কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আমরা বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ ইভি নির্মাতার একটিতে পরিণত হতে চাই। চীনের অটোমোবাইলশিল্পকে বিশ্ববাজারে তুলে ধরতে চেষ্টা করব।’

শাওমির বৈদ্যুতিক গাড়ির মডেলের নাম এসইউ সেভেন। এই মডেলের দুটি সংস্করণ আসবে। একটি একবার চার্জে ৬৬৮ কিলোমিটার (৪১৫ মাইল) পর্যন্ত চালানো যাবে। অন্যটি চলবে ৮০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। তবে শাওমির এই ইভির দাম ঘোষণা করা হয়নি।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, শাওমির জনপ্রিয় ফোন ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসের সঙ্গে যুক্ত অপারেটিং সিস্টেমের কারণে এসইউ সেভেন গাড়িটি গ্রাহক আকর্ষণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। গাড়ির চালক শাওমির মোবাইল অ্যাপগুলো নিরবচ্ছিন্নভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।

২০২১ সালের মার্চে বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনের ইচ্ছা প্রথম জানায় শাওমি। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে তারা বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির জন্য ব্যবসায়িক নিবন্ধন করে।

রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির জন্য শাওমির নতুন ব্যবসায়িক শাখাটির নাম ‘শাওমি ইভি ইনকরপোরেটেড’। নিবন্ধনের সময় চীনা মুদ্রায় এক হাজার কোটি ইউয়ান অনুমোদিত মূলধন এবং শাওমির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লেই জুনকে আইনানুগ প্রতিনিধি হিসেবে উল্লেখ করা হয়।