এবার ৭৯ হাজার পয়েন্টের ঘরে ভারতের শেয়ার সূচক, নতুন রেকর্ড

প্রায় প্রতিদিনই নতুন নজির গড়ছে ভারতের শেয়ারবাজার। গত বৃহস্পতিবার এই প্রথম ৭৯ হাজারের ঘর স্পর্শ করেছে দেশটির প্রধান শেয়ারসূচক সেনসেক্স। সেই সঙ্গে নতুন নজির গড়েছে আরেক শেয়ার সূচক নিফটি।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার সংবাদে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সেনসেক্স সূচক ৭৯ হাজার ২৪৩ দশমিক ১৮ পয়েন্টে দিন শেষ করেছে। অর্থাৎ সেদিন এই সূচক বেড়েছে ৫৬৮ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট; লেনদেন চলাকালীন সর্বোচ্চ ৭২২ পয়েন্ট উত্থান হয় এই সূচকের; উঠে যায় ৭৯ হাজার ৩৯৬ দশমিক ০৩ পয়েন্টে। সেই সঙ্গে আরেক সূচক নিফটিও সেদিন প্রথমবারের মতো ২৪ হাজার পয়েন্ট পার করেছে; রেকর্ড গড়ার পর ২৪ হাজার ৪৪ দশমিক ৫০ পয়েন্টে দিন শেষ করে এই সূচক।

ভারতের শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক এই উত্থান অনেক ধরনের তত্ত্ব থাকলেও বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অনেকে মনে করেন, এর মূল কারণ অর্থনীতির উন্নতি। শেয়ারবাজারে যে বিদেশি বিনিয়োগ ফিরতে শুরু করেছে, এটাই তার কারণ। সে কারণে শেয়ারের দাম এভাবে বাড়ছে।

জানা গেছে, ভারতের এনএসই বা ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত মোট দুই হাজার কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে। জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে এই কোম্পানিগুলো মুনাফা করেছে মোট ৪ দশমিক ১৪ লাখ কোটি রুপি; অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে যা ছিল ৩ দশমিক ৬২ লাখ কোটি রুপি। কোম্পানিগুলোর অগ্রিম কর পরিশোধের হার বেড়েছে ২১ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে তাদের আয় যে বাড়ছে, এটা তারই ইঙ্গিত।

ভারতের বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বাজার মূলধন সম্প্রতি পাঁচ লাখ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। এদিকে গত সপ্তাহে টানা চার দিন ভারতের শেয়ারবাজারের উত্থান হয়েছে। নির্বাচনের বছর গত ফেব্রুয়ারিতে ভারত সরকার অন্তর্বর্তী বাজেট দেয়; নির্বাচনের পর পূর্ণাঙ্গ বাজেট দেওয়া হয়। নতুন সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটের আগে বাজারে যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে, তার ওপর ভর করেই একের পর এক মাইলফলক স্পর্শ করছে ভারতের সূচকগুলো। তাদের ধারণা, এখন আরও উঠবে সূচক। তৈরি হবে আরও বেশ কিছু নজির। তবে সবারই পরামর্শ, এই বাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সাবধানে পা ফেলা উচিত। দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ ধরে রাখলে ভালো মুনাফা হবে।

বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, শেয়ারবাজারের এই উত্থান বাজারের প্রাক্-বাজেট দৌড়। এবার সেনসেক্সের লক্ষ্য ৮০ হাজারের ঘর স্পর্শ করা। তাঁরা বলেন, বর্তমানে কেন্দ্রে জোট সরকার থাকলেও এটি স্থিতিশীল। বাজার আপাতত এমনই থাকবে, সূচক পতনের আশঙ্কা কম।