এবার ৬৫৪ কোটি টাকায় দুবাইয়ে বাড়ি কিনলেন ফুটবল তারকা নেইমার

নেইমার

পৃথিবীর ধনীরা দুবাইয়ে বাড়ি কিনছেন। এ শহরটি বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গায় পরিণত হয়েছে। দুবাইয়ে বাড়ি কেনার তালিকায় এবার যুক্ত হলেন ব্রাজিলের ফুটবল তারকা নেইমার।

সম্প্রতি দুবাইয়ের বুগাতি রেসিডেন্সে ৫ কোটি ৪৫ লাখ ডলারে এক পেন্ট হাউস (ভবনের ওপরের কক্ষ বা ফ্ল্যাট) কিনেছেন নেইমার। প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য ১২০ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এই পেন্ট হাউসের দাম পড়েছে ৬৫৪ কোটি টাকা। বুগতি রেসিডেন্স নামের সেই ভবনে বিলাসবহুল এই অ্যাপার্টমেন্টে সরাসরি গাড়ি নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা আছে। সেই সঙ্গে আছে সুইমিং পুল। অ্যাপার্টমেন্ট থেকে দুবাই শহরের মনোরম দৃশ্য দেখা যায়। খবর দ্য ন্যাশনাল

নেইমার জীবনের বড় সময় ইউরোপের লিগে খেলেছেন। স্পেনের বার্সেলোনা ও ফ্রান্সের পিএসজিতে খেলার পর ২০২৩ সালে তিনি সৌদি আরবের আল হিলাল ক্লাবে নাম লেখান। ক্লাবটির সঙ্গে নেইমারের দুই বছরের চুক্তি হয়েছে।

দুবাইয়ে এই পেন্টহাউস কেনার খবর এমন সময় এল, যখন শোনা যাচ্ছে, নেইমার সান্তোস ক্লাবে ফিরে যাচ্ছেন। যদিও নেইমারের এজেন্ট এটাকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

বিলাসবহুল এই ভবনে ভূমধ্যসাগরের রিভিয়েরা অঞ্চলের আদলে তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম সৈকত; আছে সুইমিং পুল, ফিটনেস ক্লাব, গাড়ি পার্কিংয়ের বিলাসবহুল ব্যবস্থা। এ ছাড়া ব্যক্তিগত পরিবহনসেবা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তিগত চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা থাকবে। এসব সেবা কেবল ভবনের বাসিন্দাদের জন্য। ভবনটির নির্মাণকাজ এখনো শেষ হয়নি। এর নির্মাণকাজ শেষ হতে আরও সাড়ে তিন বছর সময় লাগবে বলে দ্য ন্যাশনালের সংবাদে বলা হয়েছে।

দুবাইয়ের আবাসন খাতে বিনিয়োগ প্রতিবছরই বাড়ছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগপ্রত্যাশী নীতির কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। দেশটি আবাসন খাতে বিনিয়োগের জন্য অনেকটা দরজা খুলে রেখেছে। দুবাই শহরে বিনিয়োগ করার সক্ষমতা থাকলেই বাড়ি কেনা যায়। টাকা থাকলেই হলো, এর বাইরে আর কিছু খোঁজে না আরব আমিরাতের কর্তৃপক্ষ। সে কারণে দুবাই এখন সাধারণ বহুজাতিক নয়, বরং তা বিদেশিদের শহর হয়ে গেছে। তিন মিলিয়নের বেশি বা ৩০ লক্ষাধিক মানুষের দুবাই শহরে আমিরাতিরা সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে, তারা এখন মোট জনসংখ্যার মাত্র ৮ শতাংশ।

ট্যাক্স অবজারভেটরির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে দুবাই শহরে বিদেশিদের মালিকানাধীন আবাসনের মূল্য ছিল ১২১ বিলিয়ন বা ১২ হাজার ১০০ কোটি ডলার; ২০২০ সালে যা ছিল ৯৮ বিলিয়ন বা ৯ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। অর্থমূল্যের বিবেচনায় দুবাই শহরের আবাসন খাতের ৪৩ শতাংশই এখন বিদেশিদের দখলে।