গৌতম আদানির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত, জ্বালানি প্রকল্পে ঘুষের অভিযোগ
ভারতের আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্তের পরিসর বা আওতা বৃদ্ধি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মূলত গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানির আচরণ খতিয়ে দেখবে তারা এবং সেই সঙ্গে এই গোষ্ঠী ঘুষ লেনদেন করেছে কি না, তা–ও খতিয়ে দেখবে মার্কিন সরকার। ব্লুমবার্গ নিউজের সূত্রে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই সংবাদ দিয়েছে।
তদন্তের বিষয় হচ্ছে, আদানি গোষ্ঠীর কোনো কোম্পানি বা গৌতম আদানিসহ গোষ্ঠীর কর্মীরা জ্বালানি প্রকল্পে সুবিধা পেতে সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার সঙ্গে জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা। বিষয়টির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে ব্লুমবার্গের সংবাদে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নিউইয়র্কের ইস্টার্ন ড্রিস্টিক্টের অ্যাটর্নির কার্যালয় ও মার্কিন বিচার বিভাগের জালিয়াতি শাখা এই তদন্ত পরিচালনা করছে। একই সঙ্গে তারা ভারতের নবায়নযোগ্য জ্বালানি কোম্পানি অ্যাজুর পাওয়ার গ্লোবালের কার্যক্রমও খতিয়ে দেখছে।
তবে আদানি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে ব্লুমবার্গকে বলা হয়েছে, ‘আমাদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে—এমন কোনো খবর আমাদের হাতে নেই।’
এ বিষয়ে রয়টার্স আদানি গোষ্ঠী, অ্যাজুর পাওয়ার ও যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের সঙ্গে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি। এ ছাড়া নিউইয়র্কের অ্যাটর্নির কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি তারা।
২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের শর্ট সেলার হিনডেনবার্গ রিসার্চ ভারতের আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে স্টক জালিয়াতির অভিযোগ তোলে। সেই ঘটনায় আদানি গোষ্ঠী বড় রকমের সমস্যায় পড়ে। তখন আদানি গোষ্ঠীর বাজার মূলধন ১০ হাজার কোটি ডলারের বেশি কমে যায়। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের আগে গৌতম আদানি বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ ধনীর একজন ছিলেন; কিন্তু এরপর তিনি ২০-এর ঘরে নেমে যান।