পলাতক বিজয় মালিয়ার কাছ থেকে দ্বিগুণ আদায় করেছে ভারত সরকার
ভারতের পলাতক ঋণখেলাপি বিজয় মালিয়ার কাছ থেকে সরকার খেলাপি ঋণের দ্বিগুণেরও বেশি পরিমাণ অর্থ আদায় করেছে। কিন্তু এখনো তিনি পলাতক আর্থিক অপরাধী। সেই সঙ্গে মালিয়া আরও দাবি করেছেন, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ও ব্যাগগুলো যদি আইনত দ্বিগুণ টাকা উদ্ধারের ব্যাখ্যা না দিতে পারে, তা হলে তিনিও সুরাহা পাওয়ার অধিকারী।
ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর, বিজয় মালিয়ার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ১৪ হাজার ১৩১ কোটি ৬০ লাখ রুপি ব্যাংকগুলোকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সম্প্রতি সংসদে হিসাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তার পরেই এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন বন্ধ হয়ে যাওয়া কিংফিশার এয়ারলাইনসের কর্ণধার বিজয় মালিয়া।
২০১৬ সালের মার্চে যুক্তরাজ্যে পালিয়ে যান মালিয়া। কিংফিশার এয়ারলাইনসের ৯ হাজার কোটি রুপি ঋণ ফেরত না দেওয়ায় বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে মালিয়া ভারতে ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় ছিলেন। তাঁকে দেশে ফেরানো নিয়ে দেশটির সঙ্গে আলোচনাও চালাচ্ছে দিল্লি। মালিয়ার দাবি ছিল, তিনি ব্যাংকের শতভাগ বকেয়া মেটাতে তৈরি থাকলেও সরকার ও ব্যাংকগুলো তা মানেনি। পরবর্তী সময়ে তাঁকে ‘পলাতক আর্থিক অপরাধী’ ঘোষণা করে ভারত।
এক্সে করা পোস্টে মালিয়ার বক্তব্য, কিংফিশার এয়ারলাইনসের নেওয়া ঋণে গ্যারান্টার হিসেবে তাঁর দায় আইনিভাবে যাচাই করতে হবে। তা সত্ত্বেও রায় অনুযায়ী যে বকেয়া ছিল, তার চেয়ে ৮ হাজার কোটি রুপির বেশি তাঁর থেকে নেওয়া হয়েছে। যদি ইডি ও ব্যাংক দ্বিগুণ টাকা উদ্ধারের সদুত্তর দিতে না পারে, তাহলে তিনিও আইনি সুরাহা পাওয়ার যোগ্য এবং সে জন্য ব্যবস্থা নেবেন তিনি।
কেউ তাঁর পাশে দাঁড়াননি দাবি করে মালিয়া আরও বলেন, যাঁরা তাঁর বিরুদ্ধে লাগামহীন গালাগাল করেছেন, তাঁরা কি এই নির্লজ্জ অবিচারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন করবেন। সে জন্য সাহস দরকার। কিন্তু দুঃখের বিষয়, তার বিচার চাওয়ার সাহস কারও নেই।
বিজয় মালিয়া আরও বলেন, তিনি কখনো এক টাকা ঋণ করেননি, চুরিও করেননি। কিন্তু কিংফিশার এয়ারলাইনসের নেওয়া ঋণের গ্যারান্টার হিসেবে সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে আইডিবিআই ব্যাংকের কাছ থেকে জালিয়াতি করে ৯০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার অভিযোগ এনেছে। এই অভিযোগ একা তাঁর বিরুদ্ধে নয়, আরও অনেকের বিরুদ্ধেই আনা হয়েছে। এই ঋণ ব্যাংকের ক্রেডিট কমিটি ও পর্ষদ অনুমোদন করেছিল। সুদসহ পুরো ঋণ ফেরত দেওয়া হয়েছে। ৯ বছর কেটে গেলেও জালিয়াতি ও তহবিলের অপব্যবহারের অকাট্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।