বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন থেকে সরে দাঁড়ালেন বাফেট
‘আমার অর্থের প্রয়োজন সমাজের রয়েছে, আমার নয়’ এমন এক বিবৃতি দিয়ে নিজের কোম্পানির ৪১০ কোটি ডলারের শেয়ার অনুদান দিলেন মার্কিন ধনকুবের ওয়ারেন বাফেট। বিশ্বের সবচেয়ে সফল বিনিয়োগকারী বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের চেয়ারম্যান ওয়ারেন বাফেট এখন পর্যন্ত তাঁর প্রচুর সম্পদ দাতব্য প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দিয়েছেন। গতকাল বুধবার আবারও অনুদানের ঘোষণা দিলেন তিনি। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
২০০৬ সালে বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনসহ ৫টি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের সব শেয়ার দান করে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন ওয়ারেন বাফেট। গতকালের ঘোষণার মাধ্যমে সেই পথের অর্ধেকটা পাড়ি দিলেন তিনি। বাফেটের কাছে এখন বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬২৪টি শেয়ার আছে।
গতকাল আরেকটি ঘোষণা দিয়েছেন বাফেট। তা হলো দীর্ঘদিনের বন্ধু বিল গেটসের বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি ২৭ বছরের বিবাহিত জীবনের ইতি টেনেছেন এই ফাউন্ডেশনের দুই প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ও মেলিন্ডা গেটস। তাঁদের বিচ্ছেদের পর ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম কীভাবে চলবে, তা নিয়ে বহু মহলে এখনো আলোচনা চলছে। এ অবস্থায় এখন সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন বাফেট।
গত ১৫ বছরে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনে ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের বেশি দান করেছেন ওয়ারেন বাফেট। ফাউন্ডেশনটির তিনজন বোর্ড সদস্যের একজন তিনি। বাফেটের সরে দাঁড়ানোর ঘোষণায় ফাউন্ডেশনটি নতুন করে সংকটে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গতকালের বিবৃতিতে বাফেট বলেন, ‘বহু দশক ধরে আমি যা করতে পছন্দ করি কেবল তা করে বিপুল পরিমাণ জমা করেছি। আমি কোনো ত্যাগ স্বীকার করিনি বা আমার পরিবারও করেনি।’
চলতি বছরের মার্চে ১০০ বিলিয়ন ডলার সম্পদের তালিকায় ওঠেন মার্কিন বিনিয়োগ গুরু ওয়ারেন বাফেট। এ বছর রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে বাফেটের কোম্পানি বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের শেয়ারের দর, যা বাফেটকে নিয়ে যায় এই ‘এক্সক্লুসিভ ১০০ বিলিয়ন’ ক্লাবে। এ ছাড়া দানের লক্ষ্য নিয়ে ১০ বছর আগে বিল গেটস ও স্ত্রী মেলিন্ডা গেটসের সঙ্গে ওয়ারেন বাফেট নেন এক অভিনব উদ্যোগ ‘গিভিং প্লেজ’। অর্থাৎ দানের অঙ্গীকার।
গতকাল বাফেট জানান, তিনি ইতিমধ্যে বার্কশায়ার হ্যাথওয়ে ব্যতীত অন্যান্য সব করপোরেট বোর্ড থেকে পদত্যাগ করেছেন। ওই বিবৃতিতে বাফেট লেখেন, ‘ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমার শারীরিক উপস্থিতির কোনো প্রয়োজন নেই।’