এলডিসি থেকে বের হলে বাণিজ্যে ক্ষতি হতে পারে: পরিকল্পনামন্ত্রী
স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ে উত্তরণের পর বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সমস্যার মুখে পড়তে পারে বলে মনে করছে সরকার। তবে এ–সম্পর্কিত সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি বলেন, ‘২০২৬ সালের এলডিসি উত্তরণকে আমরা ভয় পাই না, যদিও ব্যবসা-বাণিজ্যে সাময়িক ক্ষতি হতে পারে। তবে সবাই আমাদের সঙ্গে আছে। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর আমরা যেসব চ্যালেঞ্জে পড়ব, আশা করি তা আমরা ভালোভাবেই মোকাবিলা করতে পারব।’
আজ বৃহস্পতিবার পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এর আগে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে তাঁর কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো র্যাংগলি সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে তাঁরা দুজন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সুইস ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশনের (এসডিসি) মাধ্যমে সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশকে নানা প্রকল্পে সহায়তা করে। ভবিষ্যতে এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত রেটো র্যাংগলি বলেন, ৫০ বছর ধরে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। কোভিড সত্ত্বেও বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি বেশ ভালো করেছে। তিনি আরও বলেন, ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ হচ্ছে। এই উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে সুইজারল্যান্ড।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হওয়ার পর ২০২৭ সালে বাংলাদেশের ৭০০ কোটি ডলারের রপ্তানি ক্ষতি হবে। বর্তমান বিনিময় হারে এই ক্ষতির পরিমাণ স্থানীয় মুদ্রায় ৭৭ হাজার কোটি টাকার বেশি। বর্তমানে বাংলাদেশের ৭৫ শতাংশ পণ্য কোনো না কোনোভাবে অগ্রাধিকারমূলক বাজারসুবিধার আওতায় রপ্তানি হয়। এলডিসি থেকে উত্তরণ হলে এই অগ্রাধিকারমূলক বাজারসুবিধা ক্রমান্বয়ে হারাবে বাংলাদেশ।
এলডিসি থেকে বের হলে বাংলাদেশের রপ্তানি, বিশেষত তৈরি পোশাক রপ্তানি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোতে রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রভাব বেশি পড়তে পারে। বর্তমানে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে।