অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) মালিকানায় যুক্ত হলো বসুন্ধরা গ্রুপ। বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান এবিজি লিমিটেড সিএসইর ২৫ শতাংশ শেয়ার কিনে নিয়েছে। গতকাল রোববার দুই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ–সংক্রান্ত চুক্তি হয়েছে।
জানা গেছে, সিএসইর অংশীদার হতে বসুন্ধরা গ্রুপ প্রায় ২৩৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। সিএসইর প্রতিটি শেয়ার বসুন্ধরা গ্রুপ কিনেছে ১৫ টাকায়। প্রতিষ্ঠানটি সিএসইর মোট ১৫ কোটি ৮৬ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩৩টি বা ২৫ শতাংশ শেয়ার কিনেছে।
দুই সংস্থার মধ্যে মালিকানার চুক্তি স্বাক্ষর উপলক্ষে গতকাল রাতে চট্টগ্রাম নগরের র্যাডিসন ব্লু বে ভিউ হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, দেশ নিয়ে এখন মিথ্যাচার চলছে। ষড়যন্ত্র চলছে। বিদেশে বসেই এসব করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে ব্যাংকের টাকা উধাও হয়ে যাবে, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে। সবই মিথ্যাচার, প্রোপাগান্ডা।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম। স্বাগত বক্তব্য দেন সিএসইর পরিচালক মেজর (অব.) মো. এমদাদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে সিএসইর পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. গোলাম ফারুক ও এবিজি লিমিটেডের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান চুক্তিতে সই করেন। ২৫ শতাংশ শেয়ার কেনার মধ্য দিয়ে সিএসইর কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে মালিকানায় যুক্ত হয়েছে এবিজি লিমিটেড।
অনুষ্ঠানে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘বেসরকারি খাতের অগ্রগতির জন্য দেশ আজ অর্থনৈতিকভাবে এত দূর আসতে পেরেছে। আমাদের নতুন নতুন খাত বের করতে হবে।’
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, এবিজি লিমিটেড স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে যুক্ত হলো। এটি বড় একটি উদ্যোগ।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর পরিকল্পনাকে সাধুবাদ জানান শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, করোনা এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যেও নতুন নতুন পণ্য ও কৌশল দিয়ে দেশের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা হয়েছে।