অর্থনৈতিক শুমারি শুরু হচ্ছে কাল
আগামীকাল মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে অর্থনৈতিক শুমারি। চতুর্থ অর্থনৈতিক শুমারির মূল তথ্য সংগ্রহের কাজ ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। দেশের ৪ কোটি পরিবারের মধ্যে ১ কোটি ২২ লাখ অর্থনৈতিক পরিবার বা ইউনিট আছে। সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
শুমারির বিস্তারিত তুলে ধরেন জনশুমারি প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান এবং অর্থনৈতিক শুমারি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এস এম শাকিল আখতার।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের সব অর্থনৈতিক ইউনিটের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ভ্যানগাড়িতে সবজি বিক্রির তথ্যও বাদ যাবে না। এ ছাড়া দেশে গড়ে ওঠা অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও এবার অর্থনৈতিক শুমারির হিসাবে আসবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সারা দেশে ৯৫ হাজার তথ্য সংগ্রহকারী এবারের শুমারির জন্য তথ্য সংগ্রহ করবেন। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে প্রতি ১০ বছর পর এমন শুমারি করছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। এবারের শুমারিতে দেশে কতজন বিদেশি কর্মী নিয়োজিত রয়েছেন, তাঁরা কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানে কী ধরনের পদে কর্মরত আছেন এবং নারী-পুরুষ কতজন, সেসব তথ্য প্রথমবারের মতো উঠে আসবে।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, শুমারির কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে শেষ করার জন্য জিওগ্রাফিকস ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) এবং জিওকোড সমন্বয় করে ডিজিটাল ম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে। মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহে ব্যবহৃত ট্যাবগুলো মোবাইল ডিভাইস ম্যানেজমেন্ট (এমডিএম) সফটওয়্যার ব্যবহার করে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪–এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো ও প্রবণতা সম্পর্কে সঠিক ও হালনাগাদ তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে, যা দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।