২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন কমে গেছে

ছবি: সংগৃহীত

ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন কমে গেছে। এপ্রিল মাসে কার্ডের মাধ্যমে যে লেনদেন হয়েছিল, তার চেয়ে ২১ শতাংশ কম হয়েছে মে মাসে। তবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের বন্ধ, নাকি আমদানি কমাতে জারি করা বিভিন্ন বিধিনিষেধের কারণে কার্ডের ব্যবহার কমেছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অবশ্য মে মাসে কার্ডের মাধ্যমে বেশি ডলার খরচ করেছেন ব্যাংকের কার্ডধারীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

ব্যাংকগুলো এখন সব গ্রাহককে এটিএম কার্ড দিচ্ছে। আবার ক্রেডিট কার্ডের ব্যবসাও করছে অর্ধেকের বেশি ব্যাংক। ফলে এখন দেশে এটিএম কার্ডের গ্রাহক প্রায় সাড়ে ৪ কোটি ও ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহক ১৯ লাখ ৪১ হাজার। অবশ্য একজন ব্যক্তির একাধিক কার্ড নিতে কোনো বাধা নেই। অর্থাৎ অনেকেই একাধিক কার্ড ব্যবহার করেন।

গত মে মাসে ডেবিট–ক্রেডিট উভয় কার্ডের এই গ্রাহকেরা মোট ২৮ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকার লেনদেন করেছেন, যা এপ্রিলে ছিল ৩৬ হাজার ৬১৩ কোটি টাকা। এটিএম, সিআরএম, পয়েন্ট অব সেলস ও ই-কমার্স কেনাকাটায় এসব লেনদেন হয়েছে।

এপ্রিলে ডেবিট কার্ডে ৩৩ হাজার ৩১৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা মে মাসে কমে ২৬ হাজার ৫০ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।

মে মাসে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৩৭১ কোটি টাকার। আগের মাস এপ্রিলে লেনদেন ছিল ২ হাজার ৭১৫ কোটি টাকার।

খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত এপ্রিলে লেনদেন অনেক বেশি হয়েছে। আর মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ঈদুল ফিতরের ছুটি ছিল। বন্ধের কারণে এ মাসে লেনদেন কমে গেছে।

কয়েকটি ব্যাংকের কার্ড বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, খোলাবাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন দেশের বাইরে যাওয়ার আগে অনেকেই ব্যাংকের দ্বৈত মুদ্রার কার্ড নিচ্ছেন। ঈদের ছুটিতে মে মাসে অনেকেই দেশের বাইরে ছিলেন। এতে দ্বৈত মুদ্রার কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে। আবার ডলারের দাম বাড়ার কারণেও খরচ বেড়ে গেছে।

আর মে মাসে ৩৫৬ কোটি টাকার ডলার খরচ করেছেন কার্ডের গ্রাহকেরা। এপ্রিলে যা ছিল ২৪১ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে এখন ডলারের দাম ৯৫ টাকা। গত মে মাসের শুরুতে যা ছিল ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা। অবশ্য ব্যাংকগুলো কার্ডে ডলার ব্যবহারের চেয়ে দাম এখন ৫ টাকা পর্যন্ত বেশি নিচ্ছে। কারণ, ডলারের সরবরাহ কমে গেছে। অন্যদিকে আমদানি খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। রপ্তানি ও প্রবাসী আয় দিয়ে আমদানি খরচ মেটানো যাচ্ছে না। এ জন্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অন্যদিকে খোলাবাজারে ডলারের দাম ১১৫ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।