বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মানজারুল মান্নান বলেন, ‘সরকার পরিবর্তনের পর সবকিছুই নতুনভাবে গঠন করতে হচ্ছে। আশা করছি, শিগগিরই আখাউড়া স্থলবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু হবে। বিষয়টি এখন অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। অনুমোদন পেলে কাজ শুরু হবে। এর ফলে আন্তদেশীয় বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।’
আজ শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের পরিচালন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। আন্তদেশীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণে জোর দিয়ে তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও মানুষের আসা-যাওয়ার সুবিধার জন্য কাজ করা হচ্ছে।
এই স্থলবন্দরের রাজস্ব আয় কমে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রেভিনিউ (রাজস্ব) তো স্থলবন্দরের একমাত্র উদ্দেশ্য নয়, উদ্দেশ্য ট্রেড (ব্যবসা)। ট্রেড বাড়লে, রেভিনিউ বাড়বে—এটাই স্বাভাবিক।
মানজারুল মান্নান বলেন, কোনো কারণে ট্রেড যদি কমে, রেভিনিউ কমবে। এটি হতেই পারে। বিজনেস সাইকেলে এটা অব্যাহত থাকে। নানা কারণে তা হতে পারে, সিজনের কারণে হতে পারে, রাজনৈতিক কারণে হতে পারে বা আন্তদেশীয় কারণেও হতে পারে। সে রকম সব বিষয়ই বিদ্যমান।
মানজারুল মান্নান বলেন, ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে আমাদের কোনো সমন্বয়হীনতা নেই। অন্য যে বিষয়, সেটি হলো আমদানি পণ্য কী হবে, রপ্তানির পণ্য কী হবে, সে বিষয়ে সরকারকে অনেক কিছু বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়।’
মানজারুল মান্নান আরও বলেন, ‘এ স্থলবন্দর দিয়ে সব পণ্য আমদানির অনুমতি দিলে বাণিজ্য বাড়বে। বিষয়টি আমরা আগেও উপস্থাপন করেছি, এখনো করব। সরকার একটা নয়, অনেক বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। আমরা আশা করি, আস্তে আস্তে সুযোগ-সুবিধা বাড়বে। তখন বাণিজ্যও বাড়বে, অবশ্যই বাড়বে। যখন বন্দরে অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বাড়বে, তখন হয়তো সরকার সব ধরনের পণ্য আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে।’
আখাউড়া স্থলবন্দরের উন্নয়ন প্রসঙ্গে মানজারুল মান্নান বলেন, ‘আমাদের অংশের অনেক কাজ হয়ে গেছে। বাকি কাজ শেষ করব। কিন্তু ভারতের অংশে এখনো উন্নয়নটা সেভাবে হয়নি। ফলে ট্রেডও সেভাবে শুরু হয়নি। এ বিষয়ে কথা হচ্ছে। পরের মাসে দিল্লিতে একটা সভা আছে। সেখানে আমরা সব বিষয় জোরালোভাবে উত্থাপন করব, যাতে আমরা ট্রেডটা (বাণিজ্য) শুরু করতে পারি।’
মানজারুল মান্নান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে আখাউড়া স্থলবন্দরের যাত্রী পারাপার ও রপ্তানি কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এ সময় চেয়ারম্যানের সঙ্গে ভারতের আগরতলায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য আতিকুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, আখাউড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভীন, আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান, রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান খান ও আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ (ওসি) মো. খায়রুল আলম উপস্থিত ছিলেন।