গরমে শান্তি, স্বস্তি ও সাশ্রয়ে ওয়ালটনের বিশ্বমানের এসি
গরমের তীব্রতা যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে এসির চাহিদাও। গরমে স্বস্তি পেতে এসির বিকল্প নেই বললেই চলে। কিন্তু এসি কেনার আগে বিদ্যুৎ বিল কেমন আসবে, টেকসই হবে কি না, বিক্রয়োত্তর সেবা ঠিকঠাক মিলবে কি না—এসব নিয়ে ভাবনা থাকে অনেকেরই। তবে সব সমস্যার সমাধান মিলবে ওয়ালটনের বিশ্বমানের প্রযুক্তিসমৃদ্ধ এসিতে।
২০২৪ সালে ‘বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ডে’র খেতাব অর্জন করে ওয়ালটন এসি। বর্তমানে দেশ ও দেশের বাইরে বিশ্বমানের এসি সরবরাহ করছে প্রতিষ্ঠানটি। ওয়ালটনের এসিগুলো বিএসটিআই–স্বীকৃত সিক্স স্টার রেটিংপ্রাপ্ত এবং শুধু বাংলাদেশেই নয়, পুরো বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি হিসেবে খ্যাত। এ ছাড়া ওয়ালটনের রয়েছে ‘সোলার এসি’ অর্থাৎ সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করেও এই এসিগুলো ব্যবহার করা যাবে।
ওয়ালটন এসিতে রয়েছে ৫ ইঞ্চি টিএফটি কালার ডিসপ্লে, সেখানে এসির রানিং ডাটা, পারফরম্যান্স, টাইমিং, ইনডোর ও আউটডোরের টেম্পারেচারসহ প্রয়োজনীয় সব তথ্য দেখতে পাওয়া যায়। শুধু তা–ই নয়, ওয়ালটন এসির ‘স্মার্ট অ্যাপস সল্যুশন ফাংশন’ অ্যাপের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে মুঠোফোনের মাধ্যমে চালু এবং বন্ধ করা যায়। সেই সঙ্গে এটির সাহায্যে এসির বিদ্যুৎ বিলের হিসাবও বের করা যায় খুব সহজেই।
ওয়ালটন এসির অত্যাধুনিক ‘এআই ডক্টর’ ফিচারটি সব সময় এসিকে মনিটর করতে থাকে এবং যখনই কোনো সার্ভিসিংয়ের প্রয়োজন হয় সঙ্গে সঙ্গে নিকটস্থ ওয়ালটন সার্ভিস পয়েন্টে জানিয়ে দেয়। এরপর সংশ্লিষ্টরাই গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং এসির সার্ভিসিং দেন।
কোভিড–পরবর্তী সময়ে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া নিয়ে বেশ সচেতন হয়ে উঠেছে ওয়ালটন। তাই ওয়ালটনের এসিতে যুক্ত করা হয়েছে সর্বাধুনিক ফ্রস্ট ক্লিন টেকনোলজি, যা তিনটি ধাপে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজেই নিজেকে পরিষ্কার করতে সক্ষম। এ ছাড়া এতে থাকা এয়ারপ্লাজমা প্রযুক্তি বাতাসে বিদ্যমান ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ধ্বংস করে রুমের পরিবেশকে রাখে নির্মল ও স্বাস্থ্যকর।
ওয়ালটন এসির ‘ফোর-ডি এয়ার ফ্লো’ টেকনোলজি রুমের প্রতিটি কোনায় বাতাসের প্রবাহ নিশ্চিত করে এবং এর ‘টার্বো কুল টেকনোলজি’ নিমেষেই রুমকে ৪০ শতাংশ দ্রুত ঠান্ডা করে। এই এসির আরেকটি কার্যকর ফিচার হলো ‘থ্রি-ইন ওয়ান কনভার্টেবল টেকনোলজি’। ধরা যাক, বাসায় দেড় (১.৫) টনের এসি আছে। কিন্তু বাসা বা রুম পরিবর্তন করার জন্য প্রয়োজন ১ টনের এসি। এ ক্ষেত্রে শুধু রিমোটের সাহায্যে ‘থ্রি–ইন ওয়ান কনভার্টেবল টেকনোলজি’ ব্যবহার করে প্রয়োজন অনুযায়ী এসিকে কনভার্ট করতে পারবেন গ্রাহক।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ওয়ালটন সবসময় বদ্ধপরিকর। ওয়ালটন এসিতে রেফ্রিজারেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয় ‘আর–৩২’ এবং ‘আর–২৯০’ গ্যাস, যা পরিবেশের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং ওজোন স্তরের কোনো ক্ষতি করে না। এ ছাড়া ওয়ালটন এসির ‘হট অ্যান্ড কুল টেকনোলজি’ শীত কিংবা গরম—যেকোনো ঋতুতেই সর্বোচ্চ আরাম ও স্বস্তি নিশ্চিত করে।
দেশব্যাপী বিস্তৃত আইএসও সার্টিফাইড ৮০টি সার্ভিস পয়েন্ট ও তিন হাজারের বেশি সার্ভিস এক্সপার্ট থাকায় ওয়ালটন এসিতে বিক্রয়োত্তর সেবা নিয়ে দুশ্চিন্তা নেই। বেস্ট সার্ভিস প্রোভাইডে ওয়ালটন এয়ারকন্ডিশনার অন্যতম।
ওয়ালটন এসিতে রয়েছে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট, পাঁচ বছরের পিসিবি এবং এসির কমপ্রেসরে ১০ বছরের গ্যারান্টি। এ ছাড়া রয়েছে তিন বছরের স্পেয়ার পার্টস সাপোর্ট এবং এক বছরের ফ্রি সার্ভিস ওয়ারেন্টি। যাঁরা একসঙ্গে পুরো টাকা দিয়ে এসি কিনতে পারছেন না, তাঁদের জন্য ওয়ালটন এসিতে রয়েছে ‘জিরো পারসেন্ট ইন্টারেস্টে’ ১২ মাস পর্যন্ত ইএমআই সুবিধায় এসি কেনার দারুণ সুযোগ। এ ছাড়া ওয়ালটন এসির এক্সচেঞ্জ অফারে রয়েছে যেকোনো ব্র্যান্ডের নতুন কিংবা পুরাতন এসি বদলে নতুন ওয়ালটন স্প্লিট এসিতে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত নিশ্চিত ছাড়। আর ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন–২২–এ ওয়ালটন এসি কিনে আপনিও হতে পারেন মিলিয়নিয়ার!
আরামে ও স্বস্তিতে থাকতে ওয়ালটন এসি সংগ্রহ করতে পারেন দেশব্যাপী ওয়ালটনের যেকোনো শো-রুম থেকে। আর ঘরে বসে ওয়ালটন এসি কিনতে ভিজিট করুন eplaza.waltonbd.com-এ অথবা কল করুন ১৬২৬৭ নম্বরে।