এখনো ফ্যাশনের অনুষঙ্গ ঘড়ি, বাজারও বাড়ছে

শুধু সময় দেখার জন্য এখন অনেকেই হয়তো আর ঘড়ি ব্যবহার করেন না। কারণ, সবার কাছে মুঠোফোন রয়েছে। তাই বলে দেশে ঘড়ির চাহিদা ও বাজার কমেনি; বরং তা দিন দিন বাড়ছে। সহজাত প্রবণতা, উন্নত রুচি ও আভিজাত্যের প্রকাশ এবং ফ্যাশনের অনুষঙ্গ হিসেবে বিভিন্ন বয়সের মানুষ ঘড়ি ব্যবহার করেন। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের বড় অংশই ঘড়ি পরতে পছন্দ করে। বাসায় দেয়ালঘড়ি রাখতে পছন্দ করেন অনেকে।

ক্রেতাদের মধ্যে ব্র্যান্ডের হাতঘড়ির চাহিদা যেমন রয়েছে, তেমনি অর্থ সাশ্রয়ে নন-ব্র্যান্ডের হাতঘড়িও বড় সংখ্যায় বিক্রি হয়। নন-ব্র্যান্ডের ঘড়ির প্রায় পুরোটাই চীন থেকে আমদানি হয়। তবে দেশে এখনো হাতঘড়ির কোনো ব্র্যান্ড তৈরি হয়নি। অবশ্য স্থানীয় একাধিক কোম্পানি দেয়ালঘড়ি তৈরি করছে। তারা স্বল্প পরিসরে রপ্তানিও করছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, সব মিলিয়ে দেশে ঘড়ির বাজারের আকার এখন ৩০০ কোটি টাকার ওপরে।

পুরুষের জন্য হাতে গোনা যে কটি ফ্যাশন উপকরণ রয়েছে, এর মধ্যে হাতঘড়ি একটি। এ কারণে নারীদের তুলনায় পুরুষের ক্ষেত্রে হাতঘড়ির চাহিদা বেশি। তাঁরাই প্রায় ৬০ শতাংশ হাতঘড়ি পরেন। ছোটদের হাতঘড়ির বাজার হিস্যা ৫ থেকে ১০ শতাংশ। বাকি ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ হিস্যা নারীদের।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঘড়ি উন্নত রুচি ও আভিজাত্য প্রকাশ করে। ফ্যাশন পণ্য হিসেবে শিক্ষার্থী ও তরুণদের মধ্যে ঘড়ির বেশ চাহিদা রয়েছে। অন্যদিকে নিজের ব্যবহার ছাড়াও বিয়েসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান এবং করপোরেট উপহার হিসেবে অনেকে ঘড়ি কিনে থাকেন। এ ছাড়া আর্থিক সচ্ছলতার ফলে দেশে দিন দিন ঘড়ির চাহিদা বাড়ছে।

আমদানিনির্ভর হাতঘড়ি

ব্যবসায়ীরা জানান, হাতঘড়ির বাজারের পুরোটাই আমদানিনির্ভর। এর মধ্যে ব্র্যান্ডের ঘড়ির বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। নন-ব্র্যান্ডের ঘড়ির বাজারে প্রতিযোগিতা বেশি। মূলত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রেপ্লিকা বা নকল নামেই বিক্রি হয় নন-ব্র্যান্ডের ঘড়ি। এসব ঘড়ির উল্লেখযোগ্য অংশ আবার অবৈধভাবে আমদানির ওপর নির্ভরশীল।

দেশে বৈধ পথে বছরে শতকোটি টাকার ওপরে হাতঘড়ি আমদানি হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২২ সালে দেশে ১১৫ কোটি টাকার হাতঘড়ি আমদানি হয়েছিল, যা ২০২৩ সালে বেড়ে ১৩৫ কোটি টাকায় ওঠে। দামের দিক থেকে আমদানির ৬০ শতাংশই ব্র্যান্ডের ঘড়ি। তবে দাম কম হওয়ায় নন-ব্র্যান্ডের ঘড়ি সংখ্যায় বেশি আমদানি হয়।

দেশে ঘড়ি আমদানিতে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান কল্লোল এন্টারপ্রাইজ প্রায় ২৮ বছর ধরে ঘড়ির ব্যবসা করছে। বর্তমানে ব্র্যান্ডের হাতঘড়ির বাজারের ৪৩ শতাংশ হিস্যা তাদের দখলে রয়েছে। কল্লোল এন্টারপ্রাইজ খুচরা পর্যায়ে ঘড়ি বিক্রি করে টাইমজোন নামের নিজস্ব শোরুমের মাধ্যমে। ১৯৯৬ সালে ভারতের টাটা কোম্পানির টাইটান ব্র্যান্ডের ঘড়ির পরিবেশক হওয়ার মধ্য দিয়ে গ্রুপটি ঘড়ির ব্যবসায় যুক্ত হয়। সারা দেশে বর্তমানে টাইমজোনের ৫৭টি শাখা রয়েছে।

১৯৬০-এর দশক থেকে ঘড়ির ব্যবসা করে আসছে সাকো ওয়াচ। প্রতিষ্ঠানটি দেশে সুইজারল্যান্ডের ওমেগা ব্র্যান্ডের ঘড়ি বাজারজাত করে। এ ছাড়া ব্র্যান্ডের ঘড়ির বাজারে ২০১৮ সালে যুক্ত হয় মোহাম্মদ অ্যান্ড সন্স, যাদের বাজার হিস্যা প্রায় ৫ শতাংশ। ঘড়ি আমদানিকারক আরেক প্রতিষ্ঠান ওয়াচেস ওয়ার্ল্ডের বাজার অংশীদার ২ শতাংশের মতো।

ব্র্যান্ডের ঘড়িবাজার

মানুষের আর্থিক সামর্থ্য যত বাড়ছে, ব্র্যান্ডের ঘড়ির ব্যবহারও তত বাড়ছে। ব্র্যান্ডের মধ্যে দেশে জাপানি ঘড়ির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া সুইজারল্যান্ড বা সুইস ঘড়িসহ ভারত, হংকং, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, কোরিয়া প্রভৃতি দেশের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ঘড়িও বিক্রি হয়। হাতঘড়ির জাপানি ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্রিডেন্স, মন্টরেক্স, কেয়ারনহিল, সিটিজেন, ওরিয়েন্ট, সিকো, ক্যাসিও, ক্যাসিও জি-শক, কিউ অ্যান্ড কিউ প্রভৃতি। সুইস ব্র্যান্ডের মধ্যে রয়েছে ওমেগা, বেল অ্যান্ড রোজ, রাডো, টিসট, লনজিন্স, রোটারি, রোমার, সুইস মিলিটারি, টিটোনি, রেমন্ড উইল, মন্টব্ল্যাঙ্ক ইত্যাদি।

এ ছাড়া টাইটান, সোনাটা ও ফাস্টট্র্যাকের মতো ভারতীয় হাতঘড়িও জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এর বাইরে চীনের ফিয়াটা ও রোসিনি; হংকংয়ের সেলক্স; যুক্তরাষ্ট্রের টাইমেক্স ও টমি হিলফিগার; ডেনমার্কের ওবাকু; সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) ওয়েস্টার; কোরিয়ার রোম্যানসন প্রভৃতি ঘড়ি দেশের বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা জানান, বিদেশি ব্র্যান্ডের মধ্যে ৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা দামের হাতঘড়িগুলোই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। রাজধানীর বিভিন্ন বিক্রয়কেন্দ্রে ৫০ হাজার থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা দামের হাতঘড়িও বিক্রি হচ্ছে। এর চেয়ে দামি ঘড়ি আমদানি হয়। যেমন সুইস ব্র্যান্ড রাডোর একটি ঘড়ির দাম ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা। তবে এসব ঘড়ির চাহিদা খুব কম; কোনো গ্রাহক ক্রয়াদেশ দিলে তা এনে দেওয়া হয়। অন্যদিকে বাচ্চাদের জন্য কয়েকটি ব্র্যান্ডের বিদেশি ঘড়ি রয়েছে। এসব ঘড়ির দাম দেড় হাজার থেকে তিন হাজার টাকা।

নন-ব্র্যান্ড মানেই রেপ্লিকা

পুরান ঢাকার পাটুয়াটুলীতে রয়েছে নন-ব্র্যান্ড ঘড়ির সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার। এ ছাড়া ওই এলাকার চকবাজার এবং গুলিস্তানেও ঘড়ির পাইকারি বাজার রয়েছে। তবে সারা দেশের খুচরা বিক্রেতাদের অধিকাংশই ঘড়ি কিনতে ছুটে যান পাটুয়াটুলীতে। সেখানে পাঁচ শতাধিক ঘড়ির দোকান রয়েছে। যার মধ্যে বড় ও মাঝারি মানের দোকান প্রায় ১০০টি। পাটুয়াটুলীতে পাইকারি পর্যায়ে ৩০ থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত দামের হাতঘড়ি পাওয়া যায়। অবশ্য কিছু ভালো মানের ঘড়িও পাওয়া যায় সেখানে।

পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, যেসব নন-ব্র্যান্ড ঘড়ি আমদানি হয়, এর প্রায় পুরোটাই বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রেপ্লিকা বা নকল নকশায় তৈরি। এসব ঘড়িতে তৈরির সময় পরিচিত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের লোগো যুক্ত করে দেওয়া হয়। নন-ব্র্যান্ডের ঘড়ির প্রায় ৮০ শতাংশই আমদানি হয় চীন থেকে। এর কারণ, চীনে তৈরি ঘড়ি তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যায়। বাকিটা আমদানি হয় ভারত, জাপানসহ অন্য কয়েকটি দেশ থেকে। বিভিন্ন রেপ্লিকা, তথা নন-ব্র্যান্ড ঘড়ির মধ্যে রয়েছে ক্যাসিও, সিকো, সিটিজেন, ওলিভস, রোলেক্স, পরদাগার, কারেন, টাইটান, সোনা, ফাস্টট্র্যাক প্রভৃতি।

পাটুয়াটুলীর এজেড এন্টারপ্রাইজের বিক্রেতা মো. জাহিদ বলেন, আসল রোলেক্স ঘড়ির দাম কয়েক লাখ টাকা। তবে দেখতে একই রকম রোলেক্স ঘড়ি আপনি পাটুয়াটুলী থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে কিনতে পারবেন। আসল ব্র্যান্ডের ঘড়ি কেনার সামর্থ্য বেশির ভাগ গ্রাহকের নেই। এ কারণে সব সময় রেপ্লিকার চাহিদা থাকে।

দেশে হয় দেয়ালঘড়ি

দেশে বিক্রি হওয়া দেয়ালঘড়ির বড় অংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয়। দেয়ালঘড়ির দেশীয় কয়েকটি ব্র্যান্ড রয়েছে। ব্র্যান্ডগুলো হচ্ছে সিটিসান, আজিনা, রেমন উইন, সেভেন স্টার, ব্লু স্কাই, প্যাসিফিক, প্যারাডো প্রভৃতি। এর বাইরে নন-ব্র্যান্ডের দেয়ালঘড়ি তৈরি করে এমন অর্ধশত কারখানা রয়েছে বলে জানা গেছে। খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশে এখন মানসম্পন্ন দেয়ালঘড়ি তৈরির সুযোগ রয়েছে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে দেয়ালঘড়ি বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব হবে।

প্রায় ৩৮ বছর আগে দেশে দেয়ালঘড়ি উৎপাদন শুরু করে সিটিসান ওয়াচ কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটি শুরুতে টেবিলঘড়ি বানাত। পরে দেয়ালঘড়ি তৈরি শুরু করে। ২০১৫ সাল থেকে আজিনা ব্র্যান্ড নামে ঘড়ি উৎপাদন শুরু করে দেশীয় শিল্প গ্রুপ আরএফএল। প্রতিষ্ঠানটি বছরে ৩ লাখ ৬০ হাজার পিস ঘড়ি তৈরি করে। আজিনা ব্র্যান্ডের তিন ধরনের ঘড়ি রয়েছে—ডিজিটাল, এনালগ ও টেবিল ঘড়ি। এসব ঘড়ি ন্যূনতম ২৪০ থেকে আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি হয়। বর্তমানে ভারত ও বুরকিনা ফাসো—এ দুটি দেশে আজিনা ব্র্যান্ডের ঘড়ি রপ্তানি হচ্ছে বলে জানান আরএফএলের কর্মকর্তারা।

অন্যদিকে বাংলাদেশে বিদেশি দেয়ালঘড়ির বাজার দু-তিনটি ব্র্যান্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এর মধ্যে অন্যতম জাপানি ব্র্যান্ড রিদম। দেশীয় প্রতিষ্ঠান সাকো ওয়াচ ঘড়িটির আমদানিকারক। রিদমের দেয়ালঘড়ি ন্যূনতম দেড় হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর টেবিলঘড়ির দাম ৯৫০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। সাকো ওয়াচের ঢাকার বসুন্ধরা সিটি আউটলেটের ব্যবস্থাপক আরিফুল হাসান বলেন, সৌন্দর্য ও ব্র্যান্ড ভ্যালু বিবেচনায় মধ্য ও উচ্চবিত্ত সমাজের অনেকেই দামি দেয়ালঘড়ির কেনেন।

স্মার্ট ওয়াচের বাজার বাড়ছে

দেশে তরুণদের মধ্যে স্মার্ট ওয়াচের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। স্মার্ট ওয়াচের মাধ্যমে হৃৎস্পন্দন ও হাঁটা (পদসংখ্যা) পরিমাপ করা যায়। একই সঙ্গে ম্যাপের মাধ্যমে নেভিগেশন করা, বিভিন্ন নোটিফিকেশন দেখা, ফোনকল করা ও ধরা, মেসেজের উত্তর দেওয়া প্রভৃতি সুবিধা পাওয়া যায়। ভালো মানের একটি স্মার্ট ওয়াচ ৩-৫ বছর ব্যবহার করা যায়। স্মার্ট ওয়াচের দাম আড়াই হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা। তবে এর চেয়ে কম দামেও নিম্নমানের কিছু স্মার্ট ওয়াচ পাওয়া যায়।

ব্যবসায়ীরা জানান, স্মার্ট ওয়াচের মধ্যে গ্রাহকদের কাছে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ডের নাম অ্যাপল ওয়াচ। তবে দামি এই ঘড়ির গ্রাহকসংখ্যা তুলনামূলক কম। সে তুলনায় স্যামসাং, হুয়াওয়ে, শাওমিসহ বিভিন্ন চীনা ব্র্যান্ডের স্মার্ট ওয়াচের বিক্রি বেশি। চীনা স্মার্ট ওয়াচ ব্র্যান্ডের মধ্যে বর্তমানে অ্যামাজফিট, কসকেট, হেইলো, মিবরো, কিসলেট প্রভৃতি ব্র্যান্ডও প্রচলিত রয়েছে।

বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের মোশন ভিউ ওয়াচশপের বিক্রয় নির্বাহী তানজীল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন ধরনের ফিচার ও সহজ পরিচালনা পদ্ধতির কারণে তরুণ ও মধ্যবয়সী অনেকেই এখন স্মার্ট ওয়াচ কিনছেন। দেখা যায়, অন্য ঘড়ি থাকলেও অনেকে এর পাশাপাশি স্মার্ট ওয়াচও কিনছেন। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এ ঘড়ি বিক্রির গতি কিছুটা কমেছে বলে জানান তিনি।

ব্যবসায় মন্দা

ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে কয়েক মাস ধরে ঘড়ি বেচাকেনা কিছুটা কমেছে। পাটুয়াটুলীর পাইকারি বিক্রেতা মিজানুর রহমান জানান, স্বাভাবিক সময়ে তাঁর দোকানে দৈনিক ৫০-৬০ হাজার টাকার হাতঘড়ি বিক্রি হতো।

ঘড়ি আমদানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. কাওছারুজ্জামান বলেন, এমনিতে বিলাসী পণ্য হিসেবে ঘড়ি আমদানিতে উচ্চ শুল্ক আরোপ করা আছে। এর সঙ্গে ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ঘড়ির দাম বেড়েছে। ফলে গ্রাহকেরা ঘড়ি কেনা কমিয়েছেন। গত দুই বছরে ব্যবসায়ের খরচ বেড়েছে প্রায় ১৫-২০ শতাংশ। যে হারে ব্যয় বেড়েছে, সে হারে ঘড়ির দাম বাড়ানো যায়নি।

কাওছারুজ্জামান আরও বলেন, চীন থেকে কম দামে খুবই নিম্নমানের ঘড়ি এ দেশে আসে। তাই চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় দেশীয় উৎপাদকেরা টিকতে পারছেন না। তবে দেশে হাতঘড়ি উৎপাদন শুরু করা সম্ভব। এ জন্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন।