ভারত থেকে ৯ দিনে ৬২০ টন কাঁচা মরিচ আমদানি, তবু বাজারে দাম চড়া
ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে নিয়মিত কাঁচা মরিচ আমদানি হচ্ছে; কিন্তু এ আমদানির প্রভাব নেই খুচরা পর্যায়ের দামে। হিলি ও বিরামপুরের বেশির ভাগ বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের খুচরা দাম ১২০ থেকে ১৬০ টাকা।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে আমদানি করা বেশির ভাগ কাঁচা মরিচ বেশি লাভের আশায় আমদানিকারকেরা জেলার বাইরে বিক্রি করছে। এ কারণে দাম কমছে না। হিলি স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিংক সূত্রে জানা যায়, চলতি জুলাই মাসের ১ থেকে ৯ তারিখ ভারত থেকে এ স্থলবন্দর দিয়ে ৬৫ ট্রাকে ৬২০ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে।
চলতি বছরের এপ্রিলে দেশে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে মরিচগাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মরিচের উৎপাদন কম হয়েছে। এতে স্থানীয়ভাবে সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেয়। এ অবস্থায় ভারত থেকে আমদানি ও স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন না বাড়লে দাম কমার সম্ভাবনা কম বলে মনে করছেন মরিচচাষি ও ব্যবসায়ীরা। তবে ক্রেতারা বলছেন, স্থানীয় বাজারে সরবরাহ কিছুটা বাড়লেও সিন্ডিকেটের কারণে দাম কমছে না।
হিলি স্থলবন্দরের কাঁচা মরিচ আমদানিকারক আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ভারতের বিহার রাজ্যের কাটিহার থেকে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ আমদানিতে সব মিলিয়ে খরচ পড়ছে ১৩৮ থেকে ১৪০ টাকা। ঢাকার পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে এ মরিচ ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। তাতে কোনো কোনো আমদানিকারক লোকসানও গুনছেন।
বিরামপুর উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের মাধুপুর গ্রামের মরিচচাষি আবুল কাশেম জানান, এ বছর তিনি ১৫ কাঠা জমিতে কাঁচা মরিচ আবাদ করেছেন। সব মিলিয়ে ফলন হয়েছে ৪৫ মণ। মরিচের আবাদ আগের থেকে কমে গেছে। স্থানীয় পাইকারি বাজারে তিনি প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১২৫ টাকায় বিক্রি করেছেন বলে জানান।
বিরামপুর পৌরশহরের নতুনবাজার এলাকার পাইকারি বাজারের কাঁচা মরিচের ব্যবসায়ী মানিক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমানে বিরামপুর বাজারে যেসব কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে, তার বেশির ভাগই এই এলাকায় উৎপাদিত। গত সপ্তাহ থেকে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কেজি ১০০ টাকার ওপরে।
হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী প্রথম আলোকে বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে এ পর্যন্ত ২৮টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ৭ হাজার ৫০০ টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি পেয়েছে।