৯০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন
সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও কাতার থেকে ৩০ হাজার টন করে ৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনা হচ্ছে। পাশাপাশি দেশীয় প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো) থেকেও ৩০ হাজার টন ইউরিয়া কেনা হবে। সব মিলিয়ে ৯০ হাজার টন সার কিনতে ব্যয় হবে ৩৬০ কোটি টাকা।
আজ বুধবার ঢাকায় সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে সার কেনার প্রস্তাবগুলো অনুমোদিত হয়। এটি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির প্রথম বৈঠক। কমিটির আহ্বায়ক অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের অন্য উপদেষ্টারা উপস্থিত ছিলেন।
এত দিন ক্রয় কমিটির বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান অনুমোদিত প্রস্তাবগুলো নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছিলেন। তবে আজ তিনি বৈঠকে উপস্থিত থাকলেও ব্রিফ করতে রাজি হননি। জানা গেছে, সার কেনার প্রস্তাবগুলো পদত্যাগী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই তৈরি করা হয়েছিল।
বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সার কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটা অতি দ্রুত করতে হবে। কারণ, সারের সরবরাহ কোনোভাবেই কমতে দেওয়া হবে না।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) ফার্টিগ্লোব থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনা হবে। এ জন্য খরচ করতে হবে ১২১ কোটি ৯৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। প্রতি টনের দাম পড়বে ৩৪৪ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার। কাতারের মুনতাজাত থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনা হবে ১২০ কোটি ৬ লাখ ৬২ হাজার টাকায়। প্রতি টনের দাম পড়বে ৩৩৯ দশমিক ১৭ ডলার। আর দেশীয় প্রতিষ্ঠান কাফকো থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনতে ব্যয় হবে ১১৭ কোটি ৭৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। এ ক্ষেত্রে ব্যাগিং চার্জসহ প্রতি টনের দাম ধরা হয়েছে ৩৩২ দশমিক ৭৫ ডলার।
দেশে সারের মোট চাহিদার প্রায় ৮০ শতাংশই পূরণ হয় আমদানির মাধ্যমে। চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরে সারের সম্ভাব্য চাহিদা প্রাক্কলন করা হয়েছে ৬৯ লাখ টন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশের সরকারি গুদামগুলোতে এখন সারের মজুত আছে ১৮ লাখ টনের কাছাকাছি। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে সার আমদানি হয়েছিল ৫৫ লাখ টনের মতো। ওই অর্থবছরে দেশে সারের উৎপাদন হয়েছিল প্রায় ৯ লাখ টন।