মিনিকেটের প্রতারণা বন্ধে মোটা চাল খাওয়ার পরামর্শ ভোক্তা অধিদপ্তরের
মানুষকে মোটা চাল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকার কারওয়ান বাজারে অধিদপ্তরের কার্যালয়ে সুপারশপ ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও আগোরা, স্বপ্ন, ইউনিমার্ট ইত্যাদি সুপারশপের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন। চাল, মসুর ডাল, আটা, ময়দা, সুজি, লবণ—এসব পণ্যের বিক্রয়মূল্যের তথ্য সুপারশপের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থাপন করেন।
‘মিনিকেট’ বলতে বাস্তবে কোনো চাল নেই মন্তব্য করে সফিকুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের মোটা চাল খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত। মোটা চালের ভাত খেতেও মজা এবং মোটা চালের ভাত খেলে মিনিকেট নামের চাল তৈরির সুযোগ থাকবে না।’
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, মিনিকেট চাল প্রতারণা বন্ধ করতে হবে। মিনিকেট চাল প্রতারণা বন্ধে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযানে নামবে এবং মিনিকেট বলতে কোনো চাল বাজারে থাকবে না। ভোক্তারা মোটা চাল খাওয়ার অভ্যাস করলে মিনিকেট চাল আর উৎপাদিত হবে না।
মত বিনিময় সভার এক ফাঁকে বিভিন্ন সময়ে ভোক্তাদের অভিযোগ জানানোর ফলে যে জরিমানা আদায় করা হয়েছে, তা থেকে ১৬ জন ভোক্তাকে ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
সভার পর এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সঙ্গে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে আজ বিকেলে আবার যোগাযোগ করা হয়। এ সময় তিনি বলেন, তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সুপারশপগুলো ২৯ শতাংশ মুনাফা করে। এটা অতিরিক্ত। এ ছাড়া সুপারশপগুলো ৫৮ টাকার চাল প্রিমিয়াম, সুপার প্রিমিয়াম নামে প্যাকেটজাত করে ৭৮ টাকায় বিক্রি করে।
সুপারশপগুলোর পক্ষ থেকে দাম বাড়ার জন্য একটি গ্রুপকে দায়ী করা হয় বলে জানান সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, প্রকৃত অবস্থা জানার জন্য কিছুদিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট গ্রুপ ও সুপারশপের মালিকদের নিয়ে আবার বৈঠক করবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এদিকে আগামীকাল বুধবার অধিদপ্তর আরেকটি মতবিনিময় সভা ডেকেছে। এতে সাবান, ডিটারজেন্ট, টুথপেস্ট, লিকুইড ক্লিনার ইত্যাদি পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধান করা হবে। এসব পণ্যের উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে, তারা যাতে পণ্যগুলোর দুই বছর আগের দাম, ছয় মাস আগের দাম ও বর্তমান দামের চিত্র নিয়ে বৈঠকে উপস্থিত হয়।