এবার ১৯৫ কোটি ডলারের টেসলা শেয়ার দান করলেন ইলন মাস্ক

ইলন মাস্ক
ছবি: রয়টার্স

দাতব্য প্রতিষ্ঠানে গত বছর প্রায় ২০০ কোটি (১ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার মূল্যের শেয়ার দান করেছেন বৈদ্যুতিক গাড়িনির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী (সিইও) ইলন মাস্ক। যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) এক নথি থেকে এমন তথ্য জানা গেছে। খবর রয়টার্স ও বিবিসির।

নথিতে বলা হয়েছে, গত বছরের আগস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রায় ১ কোটি ১৬ লাখ (১১ দশমিক ৬ মিলিয়ন) শেয়ার দান করেছিলেন। তবে অনুদানের এই অর্থ (শেয়ার) কোনো একটি বা একাধিক প্রতিষ্ঠান পেয়েছে কি না, তা নথিতে উল্লেখ করা হয়নি। প্রাপকদের মধ্যে কারও নামও সেখানে বলা হয়নি।

মাস্কের সবশেষ এই দানের বিষয়ে জানতে রয়টার্সের পক্ষ থেকে টেসলার কাছে ই–মেইল করা হয়েছিল। তবে এ বিষয়ে তৎক্ষণাৎ কোনো জবাব দেয়নি বৈদ্যুতিক গাড়িনির্মাতা কোম্পানিটি।

বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক বর্তমানে টেসলার প্রায় ১৩ শতাংশ শেয়ারের মালিক। এর আগে ২০২১ সালে প্রায় ৫৭৪ কোটি মার্কিন ডলার দান করেছিলেন মাস্ক।
বিশ্লেষকেরা বলেছেন, টেসলার শেয়ার কোনো দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করলে এর মাধ্যমে বিশেষ কর সুবিধা পেতে পারেন মাস্ক। কারণ, দাতব্য প্রতিষ্ঠানকে দান করা শেয়ারগুলো থেকে যে মূলধন লাভ হয়েছে, তার ওপর কর দিতে হয় না। কিন্তু মাস্ক যদি তা বিক্রি করে দিতেন সে ক্ষেত্রে এসব শেয়ার থেকে আয়ের ওপরে তাকে কর দিতে হতো।

বিশ্বের ধনী ব্যক্তি ও পরিবারগুলো যেন দাতব্য কাজে তাঁদের সম্পদের সিংহভাগ ব্যয় করেন সে জন্য ‘গিভিং প্লেজ’ নামে একটি ক্যাম্পেইন বা প্রচারণা রয়েছে। অন্যতম শীর্ষ ধনী ওয়ারেন বাফেট, মেলিন্ডা ও বিল গেটসের নেতৃত্বে ৪০ জন মার্কিন ধনী ব্যক্তি ২০১০ সালে প্রথম এই প্রচারণা শুরু করেন। ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বিশ্বের ২৮টি দেশের ২৩৬ জন ধনী ব্যক্তি এতে স্বাক্ষর করেছেন। ইলন মাস্ক ২০১২ সালে এই ‘গিভিং প্লেজে’ স্বাক্ষর করেন।

এ ছাড়া ২০০১ সালে ‘মাস্ক ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠা করেন ইলন মাস্ক। ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে বলা আছে, মানবতার উপকারে নিরাপদ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে তারা অনুদান প্রদান করে থাকে।

এদিকে চলতি বছরের মধ্যে নিজের উত্তরাধিকার হিসেবে টুইটারের নতুন প্রধান নির্বাহী বাছাইয়ের আভাস দিয়েছেন মাস্ক। গত বুধবার দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সম্মেলনে মাস্ক বলেন, ‘আমি ধারণা করছি, সম্ভবত এই বছরের শেষের দিকে টুইটার চালানোর জন্য অন্য কাউকে খুঁজে পাওয়ার জন্য “উপযুক্ত সময়”হবে। কারণ, আমি মনে করি, টুইটারকে একটি স্থিতিশীল অবস্থানে থাকা উচিত।’

গত বছর ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে টুইটার কিনেছিলেন এই শীর্ষ ধনী। এত টাকা ব্যয়ের জন্য টেসলার বিনিয়োগকারীসহ দেশে-বিদেশে তাঁর অনেক সমালোচনা হয়েছিল।