এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৭%: আইএমএফ
চলতি বছর মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমার পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি বলছে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। তবে ২০২৫ সালে তা কিছুটা বেড়ে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে। আর ২০২৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়াবে ৭ শতাংশে।
আজ মঙ্গলবার আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকের এপ্রিল সংস্করণ প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধির এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়। আইএমএফ পঞ্জিকাবর্ষ ধরে জিডিপির হিসাব প্রকাশ করে থাকে। আইএমএফ বলেছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি মূল্যস্ফীতিরও পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ। আইএমএফের পূর্বাভাস অনুসারে, চলতি বছরে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়াবে ৯ দশমিক ৩ শতাংশে। আগামী বছর তা কমে ৬ দশমিক ১ শতাংশে নামতে পারে। তবে ২০২৯ সালে মূল্যস্ফীতি কমে সাড়ে ৫ শতাংশে নেমে আসবে।
দেশে বর্তমানে সাড়ে ৯ শতাংশের ওপর মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। গত বছরের মার্চ মাসে ৯ শতাংশ মূল্যস্ফীতির টানা যাত্রা শুরু হয়। এরপর কোনো মাসেই মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের নিচে নামেনি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাবে, গত মার্চে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। সেই হিসাবে টানা ১৩ মাস ধরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে আছে।
এদিকে আরেক উন্নয়ন-সহযোগী বিশ্বব্যাংক চলতি মাসেই জানিয়েছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। যদিও চলতি অর্থবছরের জন্য সরকার সাড়ে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ঠিক করেছে। আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, সরকার প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, তা অর্জন করা সম্ভব হবে না। বিশ্বব্যাংক আরও বলেছে, আগামী অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।
বিশ্বব্যাংক মনে করে, নানা ধরনের সংস্কার প্রবৃদ্ধির আগের ধারা ফিরিয়ে আনতে পারে। এ জন্য মুদ্রা বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা; মুদ্রা ও আর্থিক নীতি কঠোর করা; ব্যাংক খাত সংস্কারে কার্যকর সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।