স্বল্প মূলধনি কোম্পানির জন্য নতুন নির্দেশনা, সর্বনিম্ন মূলধন হতে হবে ৩০ কোটি

শেয়ারবাজার

শেয়ারবাজারের মূল বোর্ডে ৩০ কোটি টাকার কম মূলধনের কোনো কোম্পানি আর থাকতে পারবে না। এ জন্য তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকার নিচে, সেসব কোম্পানিকে মূলধন বাড়াতে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, যেসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি টাকার বেশি, সেসব কোম্পানিকে ৩০ জুনের মধ্যে এবং যাদের মূলধন ২০ কোটি টাকার কম, তাদের আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে মূলধন বাড়িয়ে ৩০ কোটি টাকা করতে হবে। গত বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে এ–সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিএসইসির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মিনহাজ বিন সেলিম এ চিঠি ইস্যু করেন।

জানতে চাইলে বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে এ চিঠির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, স্বল্প মূলধনি কোম্পানির শেয়ার নিয়ে প্রায়ই নানা ধরনের কারসাজির অভিযোগ পাওয়া যায়। এ কারণে স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোকে মূল বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে পারবে, তারা মূল বাজারে থাকবে। আর যেসব কোম্পানি ব্যর্থ হবে, সেগুলোকে মূল বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে।

জানা গেছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বর্তমানে তালিকাভুক্ত অর্ধশতাধিক কোম্পানি রয়েছে, যাদের পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকার কম। এসব কোম্পানিকে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে মূলধন বাড়ানোর সময় বেঁধে দিয়েছে বিএসইসি। সংস্থাটির এ–সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়েছে, মূলধন বাড়াতে কোম্পানিগুলো কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, তা এক মাসের মধ্যে কমিশনকে লিখিতভাবে জানাতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা কমিশনের পক্ষ থেকে করা হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্তি বিধান অনুযায়ী কোম্পানিগুলোকে মূলধন বাড়ানোর এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্তি বিধানের ৯(১)-এ বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর পরিশোধিত মূলধন হতে হবে সর্বনিম্ন ৩০ কোটি টাকা। দীর্ঘদিন ধরে এ বিধান থাকলেও তালিকাভুক্ত অনেক কোম্পানি সেটি পরিপালন করেনি। এখন বিএসইসি সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে এ বিধান পরিপালনে সময় বেঁধে দিয়েছে।