২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

বেক্সিমকো নিয়ে যে আলোচনা শেয়ারবাজারে

দেশের শেয়ারবাজারে ব্যাপক আলোচনায় বেক্সিমকো লিমিটেড। কোম্পানিটিকে নিয়েই গতকাল রাত থেকে শেয়ারবাজারকেন্দ্রিক বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে আলোচনা। সেই আলোচনার ছাপ পড়েছে আজ সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের দামেও।

শেয়ারবাজারে বেক্সিমকোকে নিয়ে আলোচনার এ খোরাক তৈরি হয়েছে কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদনকে ঘিরে। গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্ধবার্ষিক ও অক্টোবর–ডিসেম্বর সময়ের প্রান্তিক প্রতিবেদন গতকাল কোম্পানিটির পর্ষদ সভায় অনুমোদন করা হয়। সেখানে করোনাকালেও কোম্পানিটির আয় অবিশ্বাস্যভাবে বেড়েছে। তাতে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএসেও বড় ধরনের উল্লম্ফন ঘটেছে। আর্থিক প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর থেকে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয় শেয়ারবাজারে। পরে আজ সকালে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

ডিএসইতে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সদ্য বিদায়ী ২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়ে বেক্সিমকো লিমিটেডের কর–পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১৬৮ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাত্র ৪৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এ করোনাকালে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে ১২০ কোটি টাকা বা প্রায় ২৫০ শতাংশ। ২০১৯ সালে জুলাই–ডিসেম্বর সময়ে বেক্সিমকোর ইপিএস যেখানে ছিল মাত্র ৫৪ পয়সা, সেটি ২০২০ সালের একই সময়ে বেড়ে হয়েছে ১ টাকা ৯২ পয়সা। আয়ের এ বড় ধরনের উল্লম্ফনের কারণে শেয়ারটির মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও অনেক কমে গেছে।

কোম্পানিটির আয়ের বড় ধরনের এ উল্লম্ফনের কারণ হিসেবে করোনাকালে সুরক্ষাসামগ্রী রপ্তানির সাফল্যের কথা বলা হচ্ছে। এ বিষয়ে বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান এক বিবৃতিতে বলেছেন, বেক্সিমকো যদি রপ্তানি আদেশের সব চাহিদা পূরণ করতে পারত, তাহলে আয় আরও অনেক বেড়ে যেত। কিন্তু উৎপাদন সামর্থ্যের সীমাবদ্ধতার কারণে সেটি সম্ভব হয়নি।

এ প্রসঙ্গে সালমান এফ রহমান আরও বলেন, বাংলাদেশ গতানুগতিক যেসব পণ্য রপ্তানি করে, তার তুলনায় পিপিই রপ্তানিতে মুনাফার হার অনেক বেশি। এ কারণে বৈশ্বিক পিপিই বাজারে বেক্সিমকো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠতে চায়।

এদিকে বিপুল আয় বৃদ্ধির খবরে আজ সকালে লেনদেন শুরুর প্রথম ৩০ মিনিটের মধ্যে বেক্সিমকো লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ারের দাম প্রায় ৫ শতাংশ বা ৪ টাকা ৩০ পয়সা বেড়ে ৯৩ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়। যদিও লেনদেন শুরুর একপর্যায়ে এটির দাম সর্বোচ্চ ৯৬ টাকা ৯০ পয়সা পর্যন্ত উঠেছিল।