বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় স্থায়ী তহবিল হচ্ছে না
পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তার জন্য একটি স্থায়ী তহবিল চায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় এতে রাজি নয়। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মফিজ উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিভাগটি অবশ্য অন্য দুটি বিষয়ে বিনিয়োগকারীবান্ধব সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেমন এই তহবিল থেকে শুরুর দিকে যাঁরা ঋণ নেন, তাঁরা ১২ কিস্তিতে সুদসহ তিন বছরে তা পরিশোধের সুযোগ পান। কিন্তু শেষ দিকে ঋণ নিলে তা পরিশোধে পুরো তিন বছর সময় পাওয়া যায় না। তাই আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তহবিলটি থেকে নেওয়া ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ঋণ পরিশোধের সময় হবে পাঁচ বছর। এ ছাড়া তহবিলের মেয়াদও পাঁচ বছর বাড়ানো হবে।
তহবিলটিকে স্থায়ী আকারে রূপান্তর করতে বিএসইসি গত জুনে যে চিঠি পাঠিয়েছিল আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে, সেটির পরিপ্রেক্ষিতেই গত ১৭ আগস্ট বৈঠকটি ডাকা হয়। ওই চিঠিতে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছিল।
সূত্র জানায়, বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক আমিনুর রহমান চৌধুরী বলেন, বর্তমানে তহবিলটি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তার পরিবর্তে বাজার স্থিতিশীলতার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ দরকার। ফলে স্থায়ী তহবিল গঠন করলে পুঁজিবাজারের দুঃসময়ে ব্যবহার করা যাবে।
মার্চেন্ট ব্যাংক, ব্রোকার হাউস বা বহুজাতিক কোম্পানি তহবিল থেকে ঋণ নিয়ে ফেরত দিতে দেরি করলে জরিমানার বিধান চালুর প্রস্তাবও দেন আমিনুর রহমান চৌধুরী।
ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেন স্থায়ী তহবিল গঠনের পক্ষে মত দেন।
পুঁজিবাজারে ২০১০ সালের ধসে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তা করতে ২০১৩ সালে ৯০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মফিজ উদ্দীন আহমেদ গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, আপাতত স্থায়ী তহবিল না হলেও এর মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে অর্থ বিভাগের মতামত নেওয়ার পর।