নকল ও ভেজাল পণ্য প্রতিরোধে বিএসটিআইয়ের সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, নকল ও ভেজালের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বিএসটিআইয়ের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি জনগণের মধ্যে পণ্য ও সেবার গুণগত মান সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোও জরুরি।
৫১তম বিশ্ব মান দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটের (বিএসটিআই) এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এসব কথা বলেন। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিএসটিআইয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গতকাল অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্পসচিব কে এম আলী আজম ও এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। সভাপতিত্ব করেন বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক মো. নজরুল আনোয়ার।
শিল্পায়নের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে পণ্যের দৃষ্টিনন্দন মোড়ক নয়, বিশ্বমানের গুণগত মান অর্জনের তাগিদ দেন শিল্পমন্ত্রী। তিনি বলেন, গ্রাম-গঞ্জে গড়ে ওঠা শিল্পকারখানায় উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করতে বিএসটিআইয়ের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে হবে।
করোনাভাইরাসের সময়েও যে ব্যবসায়ীরা ভেজাল পণ্য বিক্রি করে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন, তাঁদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেন কামাল আহমেদ মজুমদার। তিনি বলেন, করোনার এই ক্রান্তিকালেও কিছু মুনাফালোভী ব্যবসায়ী নষ্ট ও ভেজাল পণ্য বিক্রি করে ক্রেতাদের প্রতারিত করছেন। তাঁরা যত বড় ব্যবসায়ী হোক না কেন, কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
শিল্পসচিব কে এম আলী আজম বলেন, মানসম্মত পণ্য উৎপাদনের কোনো বিকল্প নেই। নিম্নমানের পণ্য উৎপাদন করলে ক্রেতারা ঠকবে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারেও ক্রেতা কমবে। তিনি জানান, বিএসটিআইয়ের বিভাগীয় শহরের পরীক্ষাগারগুলোকে অ্যাক্রেডিটেশনের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পণ্য রপ্তানিতে বাধা দূর করার পাশাপাশি কমপ্লায়েন্স প্রক্রিয়া সহজ করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।
পণ্যের মান নির্ধারণের পাশাপাশি মান বজায় রাখা, লাইসেন্সবিহীন ও নকল পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিএসটিআই অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে বলে জানান বিএসটিআই মহাপরিচালক।