বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে দরপতনের মিছিল
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ নীতিনির্ধারণী সুদের হার বাড়ানোর কারণে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শেয়ারবাজারগুলোয় খানিক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ অঞ্চলের অধিকাংশ শেয়ারবাজারেই আজ বৃহস্পতিবার দরপতন ঘটেছে। খবর বিবিসি ও সিএনবিসির।
এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের বড় শেয়ারবাজারগুলোর মধ্যে আজ হংকংয়ের হ্যাং সেং সূচক ১ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। চীনের সাংহাই কম্পোজিট সূচক শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে, তবে শেনজেন সূচক একই হারে, অর্থাৎ শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। অবশ্য এ জন্য দেশটিতে খুচরা বিক্রি ও শিল্পোৎপাদন কমে যাওয়াকেই অন্যতম অনুঘটক মনে করা হয়। কারণ, চীনের সরকারি তথ্যানুযায়ী দেশটিতে খুচরা বিক্রির পরিমাণ প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি সংকুচিত হয়েছে। আবার শিল্পোত্পাদনও কমেছে, যেটাকে হতাশাজনক মনে করা হয়। এ রকম পরিস্থিতিতে আগামীকাল শুক্রবার চীনের বার্ষিক কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক কর্ম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। তবে দুই দিনের সম্মেলনটি রুদ্ধদ্বার আয়োজনের মধ্য দিয়েই অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
অস্ট্রেলিয়ার এসঅ্যান্ডপি বা এএসএক্স ২০০ সূচকটি শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ কমেছে। জাপানি শেয়ারবাজারের প্রধান সূচক নিক্কেই ২২৫ সূচকটি করেছে শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ। সেই দেশের টোকিও স্টক প্রাইস ইনডেক্স (টপিক্স) শূন্য দশমিক ১৮ পয়েন্ট খুইয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কোস্পি সূচক পড়েছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ।
এদিকে নীতি সুদ কমানোর পর খোদ যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারের এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক শূন্য দশমিক ৬৩ শতাংশ, ডাউজোন্স সূচক শূন্য দশমিক ৪২ শতাংশ, ন্যাসডাক সূচক শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ পড়েছে।
ইউরোপীয় শেয়ারবাজারগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্যের এফটিএসই সূচক শূন্য দশমিক ৭৭ শতাংশ, ফ্রান্সের সিএসি ৪০ সূচক ১ দশমিক ২২ শতাংশ, জার্মানির ড্যাক্স সূচক ১ দশমিক ১৭ শতাংশ কমেছে।
মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ গতকাল বুধবার নীতিনির্ধারণী সুদের হার বাড়িয়েছে। সুদহার বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, দ্রব্যমূল্য যেভাবে দ্রুতগতিতে বাড়ছে, তাতে এর লাগাম টানতে সুদের হার আরও বাড়াতে হতে পারে।
এবার নীতি সুদের হার শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে। তবে তা পরিমাণে তাঁদের সাম্প্রতিক ঘোষণাগুলোর তুলনায় কম। এর ফলে ফেডারেল রিজার্ভ নীতি সুদহার ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ৪ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে রাখার যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, সেদিকেই এগোচ্ছে। এটিই গত ১৫ বছরের মধ্যে দেশটিতে নীতি সুদের সর্বোচ্চ হার।