যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত পাঁচটি চীনা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি শুক্রবার বলেছে, তারা স্বেচ্ছায় নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকা থেকে বেরোতে চায়।
বৃহৎ তেল কোম্পানি সিনোপেক, চায়না লাইফ ইনস্যুরেন্স, অ্যালুমিনিয়াম করপোরেশন অব চায়না (চালকো), পেট্রোচায়না ও সিনোপেক সাংহাই পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানি—এরা সবাই বলেছে, তারা এ মাসে আমেরিকান ডিপোজিটরি শেয়ারের তালিকাভুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার আবেদন করবে। তবে তারা হংকং ও চীনের মূল ভূখণ্ডের স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত থাকবে। খবর রয়টার্সের
এ বছরের মে মাসে ইউএস সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) এই পাঁচটি কোম্পানিসহ আরও কয়েকটি কোম্পানি সম্পর্কে বলেছে, তারা মার্কিন নিরীক্ষার মান পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে কোম্পানিগুলো ঘোষণায় এই বিতর্কের কথা উল্লেখ করেনি। মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সম্প্রতি তাইওয়ান সফর নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টির পর বিষয়টি নজরে আসে।
বেইজিং ও ওয়াশিংটন দীর্ঘদিন ধরে চলমান এই নিরীক্ষা বিরোধের সমাধান করতে আলোচনা করছে। এই প্রক্রিয়া সফল না হলে চীনা কোম্পানিগুলো মার্কিন শেয়ারবাজারে নিষিদ্ধ হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত চীনা কোম্পানিগুলোর পূর্ণাঙ্গ হিসাবের হদিস চায় যুক্তরাষ্ট্র। চীন তাতে রাজি না হলে চীনা কোম্পানিগুলোর পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে টিকে থাকা সম্ভব হবে না বললেই চলে।
বেইজিং চীনা কোম্পানিতে বিদেশি নিরীক্ষা কোম্পানিগুলোকে কাজ করতে দেয় না। জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে, এই অজুহাতে চীন তা করতে দেয় না।
চায়না সিকিউরিটিস রেগুলেটরি কমিশন বলেছে, ‘এই কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারের সব নিয়মকানুন মেনে চলছে। এখন যে তারা তালিকা থেকে বেরোতে চাইছে, সেটাও তাদের নিজস্ব ব্যবসায়িক বিবেচনা থেকে।’ তবে চায়না সিকিউরিটিস বলেছে, বিদেশি নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে তারা আলোচনা ও যোগাযোগ চালিয়ে যাবে।