শেয়ারবাজারের সূচক বাড়ল ছয় দিন পর
টানা ছয় কার্যদিবস পর দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্যসূচক বেড়েছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ১৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৭৪ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি লেনদেনও বেড়েছে গতকাল। এদিন ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৮৬২ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৯৭ কোটি টাকা বেশি।
লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকার বাজারে গতকাল লেনদেনের শীর্ষে ছিল বস্ত্র খাত। এর পরের অবস্থানে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। তৃতীয় অবস্থানে ছিল ব্যাংক খাত। আবার এ তিন খাতের সম্মিলিত লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৭৭ কোটি টাকা, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের প্রায় ৪৪ শতাংশ। এর মধ্যে বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলোর লেনদেনের পরিমাণ ১৫৯ কোটি টাকা। এ ছাড়া ওষুধ খাতে ১১১ কোটি টাকা ও ব্যাংক খাতে ১০৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, বস্ত্র খাতের লেনদেনের বড় অংশই ছিল দুটি কোম্পানির। কোম্পানি দুটি হলো মুন্নু ফেব্রিক্স ও আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ। এই খাতের মোট লেনদেনের এক–চতুর্থাংশই এ দুই কোম্পানির। এ ছাড়া গতকাল এই খাতের শেয়ার লেনদেন হওয়া ৫৮ কোম্পানির মধ্যে ৪৫টিরই দাম বেড়েছে, কমেছে ৮টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৫টির।
ঢাকার বাজারে এদিন মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে ৬টিই ছিল বস্ত্র খাতের। কোম্পানিগুলো হচ্ছে ভিএফএস থ্রেড, কুইনসাউথ টেক্সটাইল মিলস, এসকোয়্যার নিট কম্পোজিট, কাট্টলি টেক্সটাইল, প্রাইম টেক্সটাইল ও হামিদ ফেব্রিকস। এসব কোম্পানির সব কটির শেয়ারের দামই এদিন সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ করে বেড়েছে।
ঢাকার বাজারে গতকাল লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে উত্তরা ব্যাংক। এই ব্যাংকের প্রায় ৪০ কোটি টাকার শেয়ারের হাতবদল হয়। দিন শেষে প্রতিটি শেয়ারের দাম ২ টাকা ১০ পয়সা বা সোয়া ৮ শতাংশের বেশি বেড়েছে। উত্তরা ব্যাংক ছাড়াও গতকাল ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় আরও ছিল ব্র্যাক ব্যাংক, এদিন ব্যাংকটির প্রায় ১৯ কোটি টাকার শেয়ার হাতবদল হয়।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত ডিসেম্বরে ব্যাংকের আর্থিক বছর শেষ হয়েছে। সামনে ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশের ঘোষণা আসবে। এ ছাড়া সর্বনিম্ন মূল্যস্তরের কারণে অনেক ব্যাংকের শেয়ারের দাম অবমূল্যায়িত অবস্থায় ছিল। এসব কারণে লভ্যাংশ ঘোষণাকে সামনে রেখে ব্যাংক খাতের কিছু শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে যেসব ব্যাংক নিয়ে বড় ধরনের অনিয়মের ঘটনা নেই এবং যারা ধারাবাহিকভাবে বিনিয়োগকারীদের ভালো লভ্যাংশ দিয়ে আসছে, সেগুলোর প্রতিই বিনিয়োগকারীদের বেশি আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।