ঢাকার শেয়ারবাজারে আজ উত্থান–পতন চলছে, মুনাফা তুলছেন বিনিয়োগকারীরা
ঢাকার শেয়ারবাজারে আজ সূচকের উত্থান-পাতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে। টানা চার দিন সূচকের বড় ধরনের উত্থানের পর আজ এই মিশ্র ধারা দেখা যাচ্ছে।
আজ সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়েই দিনের লেনদেন শুরু হয়। কিন্তু তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দিনের প্রথম ৩০ মিনিটে ঢাকার শেয়ারবাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫০ পয়েন্টের মতো কমে যায়। তবে গতকালের মতো আজও লেনদেনের গতি ভালো। পরে অবশ্য সূচক কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়।
আজ দিনের প্রথম ৫০ মিনিট লেনদেনের পর শেয়ারবাজারের তিনটি সূচকই ছিল নিম্নমুখী। এই সময় প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৮ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ। ডিএসইএস সূচক কমেছে ২ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ আর ডিএস ৩০ সূচক কমেছে ১ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৬৮ শতাংশ।
গতকাল দুই বছর পর ঢাকার শেয়ারবাজারের লেনদেন দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। আজও লেনদেনের যে গতি, তার ভিত্তিতে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লেনদেন দুই হাজার কোটি টাকা বা তার চেয়েও বেশি হতে পারে।
আজ বাজারের গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে দুটি শীর্ষস্থানীয় ব্রোকারেজে হাউসের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, টানা চার দিন বড় ধরনের উত্থানের পর অনেকেই শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা করার চেষ্টা করছেন। এটি অস্বাভাবিক নয়; বরং এটাই বাজারের স্বাভাবিক গতি। গত কয়েক দিনে ভালো মৌল ভিত্তিসম্পন্ন কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারের দাম ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এ অবস্থায় প্রাতিষ্ঠানিক ও বড় বিনিয়োগকারীরা বাজার থেকে কিছু মুনাফা তুলে নেবেন, বাজার সংশ্লিষ্টরা এটাকে স্বাভাবিক বলে মনে করছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে যে সূচকের পতন দেখা যাচ্ছে, তা মূলত মূল্য সংশোধনের কারণে হচ্ছে। অনেক বিনিয়োগকারী মুনাফা তুলে নিতে ভালো কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করছেন। বাজারে লেনদেনের গতি ভালো থাকায় বোঝা যাচ্ছে, বাজারে আজ শুধু বিক্রেতা নয়, ক্রেতারাও আছেন। বিষয়টি ইতিবাচক।
আজ দিনের প্রথম ৫০ মিনিটে লেনদেনের শীর্ষে আছে গ্রামীণ ফোন; এই কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪০ কোটি ৭৫ লাখ টাকার। দ্বিতীয় স্থানে আছে রবি; এই কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি টাকার। তৃতীয় স্থানে আছে আইএফআইসি ব্যাংক; তাদের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকার।
লেনদেনের তালিকায় চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছে যথাক্রমে ব্র্যাক ব্যাংক ও এবি ব্যাংক।
গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর শেয়ারবাজারের গতি বেড়েছে। ভালো কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম বাড়ছে। প্রধান সূচক ছয় হাজার পয়েন্ট অতিক্রম করেছে। দৈনিক লেনদেন দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই গতি অব্যাহত থাকলে বাজারে সুস্থ ও স্বাভাবিক ধারা ফিরে আসবে।