সাবেক পাঁচ মন্ত্রীসহ তাঁদের পরিবারের ২০ জনের বিও হিসাব জব্দ

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এবং সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতফাইল ছবি

গণ–আন্দোলনের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের পাঁচ মন্ত্রী, এক সংসদ সদস্যসহ তাঁদের পরিবারের ২০ জনের নামে শেয়ারবাজারে থাকা সব বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) জব্দ করা হয়েছে। জব্দ থাকা অবস্থায় এসব বিও হিসাবে শুধু অর্থ জমা করা যাবে। এ ছাড়া অর্থ উত্তোলনসহ অন্য কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না।

বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের যে পাঁচ মন্ত্রীর বিও হিসাব জব্দ করা হয়েছে তারা হলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল; সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক এবং সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। পাশাপাশি তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও বিও হিসাব জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আজ বৃহস্পতিবার এসব বিও হিসাব জব্দের নির্দেশ দেয়। শেয়ারবাজারের বিও হিসাব সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড বা সিডিবিএলকে এ নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে।

ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হওয়া সদ্যবিদায়ী সরকারের পাঁচ মন্ত্রী ছাড়া আরও যাঁদের বিও হিসাব জব্দ করা হয়েছে, তাঁরা হলেন হাছান মাহমুদের স্ত্রী নুরুন ফাতেমা হাসান ও মেয়ে নাফিসা জুমাইনা মাহমুদ, আসাদুজ্জামান খান কামালের স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খান, ছেলে সাফী মুদাচ্ছের খান ও মেয়ে সাফিয়া তাসনিম খান, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের স্ত্রী রুখমিলা জামান চৌধুরী, মেয়ে জারা জামান ও জেবা জামান চৌধুরী, জুনাইদ আহ্‌মেদ পলকের স্ত্রী আরিফা জেসমিন কনিকা, মোহাম্মদ আলী আরাফাতের স্ত্রী শারমিন মুস্তারি, পিরোজপুর আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন মহারাজ, তাঁর স্ত্রী উম্মে কুলসুম ও ছেলে সাম্মান জুনায়েদ ইফতি।

এ–সংক্রান্ত বিএসইসির আদেশে বলা হয়েছে, উল্লিখিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ–সংক্রান্ত বিষয়ে অনিয়ম হয়ে থাকতে পারে। পুঁজিবাজারের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে এসব অনিয়ম রোধ করা প্রয়োজন। এ কারণে ডিপজিটরি আইন ১৯৯৯–এর ১৪ ধারা অনুযায়ী, বিএসইসির ক্ষমতাবলে এসব ব্যক্তির শেয়ারবাজারে থাকা বিও হিসাব পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জব্দ থাকবে।

আদেশে আরও বলা হয়েছে, উল্লেখিত ব্যক্তিদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব এরই মধ্যে জব্দ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বিএফআইইউ। ব্যাংক হিসাব জব্দের পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে তদন্তেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় তাঁদের নামে থাকা শেয়ারবাজারের বিও হিসাব জব্দের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামসহ শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট ১১ ব্যক্তির বিও হিসাব জব্দ করে বিএসইসি।