ভালো শেয়ারের দরপতনে সূচকের পতন অব্যাহত
দরপতনের ধারা থেকে বের হতে পারছে না শেয়ারবাজার। সপ্তাহের শেষ দিনেও আজ বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৯ পয়েন্ট কমেছে।
ডিএসইতে এদিন লেনদেন হওয়া ৩৯৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৯৮টিরই দাম কমেছে। দাম বেড়েছে ১০৫টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৯১টির দাম। বেশির ভাগ শেয়ারের দরপতন হলেও লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। ঢাকার বাজারে বৃহস্পতিবার দিন শেষে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৫২ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৪৮ কোটি টাকা বেশি।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে এখন তারল্যসংকট চলছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি ব্যক্তিশ্রেণির বড় বিনিয়োগকারীদের অনেকে এখন বাজারে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। যার প্রভাব পড়েছে লেনদেন ও শেয়ারের দামে। সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) শেয়ার কারসাজির ঘটনায় বেশ কিছু কারসাজিকারককে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আর্থিক জরিমানা করেছে। এতে বড় বড় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক ভর করেছে। এ কারণে ব্যক্তিশ্রেণির বড় বড় বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। তবে এটি সাময়িক।
বাজারবিশ্লেষকেরা বলছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা কারসাজিকারকদের বড় অঙ্কের জরিমানা করার মাধ্যমে একধরনের বার্তা দিতে চাচ্ছে। যাতে কারসাজিকারকেরা কোনো শেয়ার নিয়ে কারসাজির সাহস না পান। এতে কারসাজির ঘটনা কমলে তাতে দীর্ঘমেয়াদি ভালো বিনিয়োগকারীরা বাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন।
ব্রোকারেজ হাউস লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকার বাজারে আজ সূচকের পতনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল স্কয়ার ফার্মা, ইসলামী ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মা ও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর। এই চার কোম্পানির শেয়ারের দরপতনেই ডিএসইএক্স সূচকটি কমেছে প্রায় ১৪ পয়েন্ট।