শেয়ারবাজারে এক বছরের বেশি সময় ধরে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির বেঁধে দেওয়া ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যস্তরে আটকে আছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার। এ অবস্থায় স্কয়ার ফার্মার শেয়ারে বড় অঙ্কের বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন কোম্পানিটির দুই উদ্যোক্তা। তাঁরা হলেন স্কয়ার ফার্মার ভাইস চেয়ারম্যান রত্না পাত্র ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী। শেয়ারবাজার থেকে এ দুই উদ্যোক্তা মোট ২০ লাখ শেয়ার কিনবেন।
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল রোববার কোম্পানিটির শেয়ার কেনার এ ঘোষণা দেওয়া হয়। গতকাল শেয়ার কেনার যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে যে স্কয়ার ফার্মার দুই উদ্যোক্তা ১০ লাখ করে শেয়ার কিনবেন। বর্তমানে শেয়ারবাজারে স্কয়ার ফার্মার প্রতিটি শেয়ারের দাম ২০৯ টাকা ৮০ পয়সা। বর্তমান এ বাজারমূল্য অনুযায়ী, দুই উদ্যোক্তার কেনা ২০ লাখ শেয়ারের দাম পড়বে প্রায় ৪২ কোটি টাকা।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ৩১ জুলাই পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বাজারের পতন ঠেকাতে নতুন করে সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে। এরপর স্কয়ার ফার্মার শেয়ারের দাম কমে ২০৯ টাকা ৮০ পয়সায় নেমে আসে এবং এটিই এখন কোম্পানিটির শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস। এক বছরের বেশি সময় ধরে ফ্লোর প্রাইস বা তার কাছাকাছি দামেই স্কয়ার ফার্মার শেয়ারের লেনদেন হচ্ছে। এমনকি ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকায় কোম্পানিটির খুব বেশি শেয়ারেরও হাতবদল হচ্ছে না।
এমন এক পরিস্থিতিতে কোম্পানিটির দুই উদ্যোক্তা বাজার থেকে প্রায় ৪২ কোটি টাকার শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছেন। সম্পর্কে তাঁরা ভাই-বোন। এর বাইরে কোম্পানিটির চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন স্যামুয়েল এস চৌধুরী ও পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী। এই চারজন স্কয়ার ফার্মার প্রতিষ্ঠাতা স্যামসন এইচ চৌধুরীর সন্তান।
এর আগে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে শেয়ারবাজারের বড় দরপতনের ফলে স্কয়ার ফার্মার শেয়ারের দাম ২০০ টাকার নিচে নেমে এলে ওই সময় কোম্পানিটির চার উদ্যোক্তা মিলে ১২ লাখ শেয়ার কিনেছিলেন। তাতে তাৎক্ষণিকভাবে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছিল। ওই উদ্যোগের প্রায় চার বছর পর এসে একই ধরনের উদ্যোগ নিলেন কোম্পানিটির উদ্যোক্তারা।
জানতে চাইলে স্কয়ার ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘শেয়ার কেনার এ ঘোষণাকে আমরা বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করছি। আমরা কোম্পানি চালাচ্ছি, তাই কোম্পানির ব্যবসা, মুনাফা ও প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে আমাদের যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস ও ধারণা রয়েছে। সামগ্রিক বিবেচনায় আমাদের মনে হয়েছে, এ সময়ে আমাদের কোম্পানিতে বিনিয়োগই আমাদের জন্য সবচেয়ে লাভজনক।