বাটা শুর মুনাফা ৩৫ শতাংশ বেড়েছে, ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যবসা

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটি মুনাফা করেছে ১৮ কোটি টাকা। এই মুনাফা গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ২৬৭ কোটি টাকার জুতা বিক্রি করেছে বহুজাতিক কোম্পানি বাটা শু। জুতার বাইরে কোম্পানিটি প্রায় ১৩ কোটি টাকার অন্যান্য সরঞ্জাম বা অ্যাকসেসরিজ বিক্রি করেছে। সব মিলিয়ে এ তিন মাসে জুতা ও অ্যাকসেসরিজ বিক্রি করে ২৮০ কোটি টাকা আয় করেছে বাটা শু।

তিন মাসের ব্যবসা বা আয় বিবেচনায় গত ১০ বছরের মধ্যে বাটা শু সর্বোচ্চ ব্যবসা করেছে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে। এমনকি তিন মাসের বিবেচনায় গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মুনাফাও করেছে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে। উল্লেখিত সময়ে কোম্পানিটি মুনাফা করেছে ১৮ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১৪ কোটি টাকা। সেই হিসাবে কোম্পানিটির মুনাফা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বা পৌনে ৫ কোটি টাকা বেড়েছে।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে বাটা শু গতকাল মঙ্গলবার তাদের চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) যে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, সেখান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। কোম্পানিটির ওয়েবসাইটের পাশাপাশি আর্থিক প্রতিবেদনের এ তথ্য স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদেরও জানিয়েছে কোম্পানিটি।

আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বাটা শু গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৪ কোটি টাকার বেশি জুতা বিক্রি করেছে। পাশাপাশি অ্যাকসেসরিজ বিক্রিও বেড়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকার। গত বছরের প্রথম তিন মাসে বাটা শু ২৩৩ কোটি টাকার জুতা বিক্রি করেছিল। আর অ্যাকসেসরিজ সামগ্রী বিক্রি করেছিল ১১ কোটি ৩৪ লাখ টাকার। গত বছরের চেয়ে এ বছর জুতা ও অ্যাকসেসরিজ বিক্রি বৃদ্ধির জন্য চারটি কারণের কথা জানিয়েছে কোম্পানিটি। বাটা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জানুয়ারি-মার্চ সময়ে স্কুল খোলা থাকায় স্কুলের জন্য ব্যবহৃত জুতা বিক্রি বেড়েছে। এ ছাড়া শীত মৌসুম ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাড়তি বিক্রির সুবিধাও এ সময়ের মধ্যে পেয়েছে কোম্পানিটি। পাশাপাশি বিক্রি বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের ছাড়সুবিধা দেওয়ায় তাতেও বিক্রি বেড়েছে কোম্পানিটির।

আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে কোম্পানিটির বিক্রি আগের বছরের চেয়ে ৩৫ কোটি টাকা বা সোয়া ১৪ শতাংশের বেশি বেড়েছে। বিক্রি বাড়লেও পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়েনি। এ কারণে বাড়তি আয়ের কারণে মুনাফা বেড়েছে কোম্পানিটির। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ২৮০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রির বিপরীতে বাটার উৎপাদন খরচ হয়েছে ১৫৫ কোটি টাকা, যা মোট আয়ের প্রায় ৫৫ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির ২৪৫ কোটি টাকার ব্যবসার বিপরীতে উৎপাদন খরচ ছিল ১৩৭ কোটি টাকা, যা ওই সময়ের মোট আয়ের প্রায় ৫৬ শতাংশ।