শেয়ারবাজারে পতন ঠেকাতে আবারও ফ্লোর প্রাইস আরোপ
শেয়ারবাজারের টানা পতন থামাতে আবারও ফ্লোর প্রাইস বা শেয়ারের দামের সর্বনিম্ন সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে নির্ধারিত ওই দামের নিচে নামতে পারবে না আর কোনো শেয়ারের দাম। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬ হাজার পয়েন্টের মাইলফলক বা মনস্তাত্ত্বিক সীমার নিচে নেমে আসায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (ডিএসই) আজ বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী রোববার থেকে নতুন এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এর আগে ২০২০ সালের ১৯ মার্চ বাজারের পতন ঠেকাতে সরকারের নির্দেশে ফ্লোর প্রাইস বসানো হয়েছিল। তখন ডিএসইর প্রধান সূচকটি নেমে এসেছিল ৩ হাজার ৬০৪ পয়েন্টে। এরপরই মূলত পতন ঠেকাতে শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দামের সর্বনিম্ন সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।
এরপর গত বছরের এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে ধাপে ধাপে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হয়। এরপর সূচকটি বেড়ে গত বছরের ১০ অক্টোবর ৭ হাজার ৩৬৮ পয়েন্টের সর্বোচ্চ সীমায় উঠেছিল। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা শুরু করার পর শেয়ারবাজারে আবারও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করে। সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে গত ঈদুল আজহার ছুটির পর একটানা দরপতন চলছে বাজারে।
এ অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার ডিএসইর প্রধান সূচকটি ৫৭ পয়েন্ট বা প্রায় ১ শতাংশ কমে ৬ হাজার পয়েন্টের মাইলফলক বা মনস্তাত্ত্বিক সীমা নিচে নেমে আসে। আর তাতেই পতন ঠেকাতে নতুন করে আবারও শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দামের সর্বনিম্ন সীমা বা ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দিয়েছে বিএসইসি। সংস্থাটি জানিয়েছে, করোনা–পরবর্তী ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।