সর্বোচ্চ তদারকির প্রস্তুতি বিএসইসির, বৈঠকে বসেছে সিইও ফোরাম

শেয়ারবাজারগ্রাফিকস: প্রথম আলো

দেড় বছর পর ৩৫ কোম্পানি বাদে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বা ইউনিটের ওপর আরোপিত ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যস্তর উঠে যাচ্ছে আজ। ফ্লোর প্রাইস উঠে যাওয়ার পর বাজারে তার কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে, তাই এখন বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের বিষয়।

এদিকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার কারণে বাজারে যাতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে, সে জন্য তদারকি ব্যবস্থা জোরদার করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বা বিএসইসি। এর আগে গত বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে বিএসইসসি ৩৫টি কোম্পানি বাদে বাকি সব কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার আদেশ জারি করে। শেয়ারবাজারের সূচকে যে ৩৫টি কোম্পানির বড় ধরনের প্রভাব রয়েছে, মূলত সেগুলোর ওপর ফ্লোর প্রাইস বহাল রাখা হয়েছে।

এদিকে লেনদেন শুরুর আগে আজ বেলা সাড়ে ৯টায় শেয়ারবাজারের ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন সিইও ফোরাম নিজেদের মধ্যে আলোচনায় করেছে। অনলাইনে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি ও ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার পরবর্তী করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়। এই পরিস্থিতিতে বাজারকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করার বিষয়ে একমত হন বেশির ভাগ সিইও।

বৈঠকে তিনটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রথমত, যেসব শেয়ারের ক্রেতা থাকবে না, সেই সব শেয়ারের বড় বিক্রয় আদেশ দেওয়া হবে না। দ্বিতীয়ত, ব্রোকারেজ হাউসের ডিলার অ্যাকাউন্ট থেকে এক কোটি টাকা বা সাধ্যমতো শেয়ার কেনা হবে। তৃতীয়ত, বিনিয়োগকারীরা যেন আতঙ্কিত হয়ে ‘প্যানিক সেল’ না করেন, সে বিষয়ে তাদের বোঝানো হবে।

বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক সিইও প্রথম আলোকে জানান, এই বৈঠকে প্রায় ২৮ জন সিইও অংশ নিয়েছেন। আগামী সাত দিন লেনদেন শুরু আগে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে এই বৈঠক হবে।

জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, সকাল থেকে বাজারে তদারকি ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। স্বাভাবিক তদারকির পাশাপাশি নিয়ন্ত্রক সংস্থার সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর লেনদেন কার্যক্রম পর্যালোচনা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই তদারকি কার্যক্রমে যদি অনিয়মের ঘটনা পাওয়া যায়, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার কারণে তাৎক্ষণিকভাবে বাজারে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও সার্বিকভাবে বাজার স্বাভাবিক গতি ফিরে পাবে।