তিন মাসে প্রায় ১০৭ কোটি টাকা মুনাফা করেছে রবি
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) সমন্বিতভাবে ১০৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা কর–পরবর্তী মুনাফা করেছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুঠোফোন অপারেটর রবি। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির মুনাফা বেড়ে প্রায় আড়াই গুণ হয়েছে। ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে রবি ৪২ কোটি টাকার কর–পরবর্তী মুনাফা করেছিল।
রবির অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রবি প্রায় ২ হাজার ৫১৬ কোটি টাকা আয় করেছে, যা আগের বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ৭ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে ডেটা থেকে আয় বেড়েছে ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ। অন্যদিকে ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে রবির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৮ পয়সা থেকে বেড়ে ২০ পয়সা হয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রবি জানিয়েছে, মূলত ডেটা ব্যবসা থেকেই রবির এ মুনাফা এসেছে। দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জ ও তীব্র প্রতিযোগিতা থাকার পরেও ডেটা সেবা থেকে আসা আয়ের ওপর নির্ভর করে সামগ্রিক আয়ের প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে কোম্পানিটি। মোট ডেটা গ্রাহকের বিচারে এই খাতে সর্বোচ্চ হারে ফোর–জি বা চতুর্থ প্রজন্মের সেবা ব্যবহারকারী রয়েছে তাদের।
রবি জানায়, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক শেষে তাদের গ্রাহকসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৮১ লাখে। এর মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪ কোটি ৩৬ লাখ, আর ফোর–জি সেবা ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩ কোটি ৫৫ লাখ। রবির গ্রাহকদের মধ্যে ৭৫ শতাংশের বেশি ডেটা ব্যবহার করেন। নেটওয়ার্ক শক্তিশালী নিশ্চিত করতে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে নতুন করে ৫৭৭টি ফোর–জি সাইট যুক্ত করেছে রবি। এর মাধ্যমে রবির ৮১ শতাংশের বেশি ডেটা গ্রাহক এখন ফোর–জি সুবিধার আওতায় এসেছেন।
রবি জানিয়েছে, তারা চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ১ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা জমা দিয়েছে। এটি ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে রবির আয়ের ৬৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এ সময়ে ৩৬৬ কোটি টাকা মূলধনি বিনিয়োগ করেছে রবি।
রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব শেঠি বলেন, সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও মূল্যস্ফীতির প্রভাব পড়েছে গ্রাহকদের মুঠোফোন ব্যবহারের ওপর। স্মার্টফোন ব্যবহারের প্রসার অনেকাংশে থমকে গেছে, তা সত্ত্বেও ডেটা সেবা থেকে ভালো আয় হয়েছে। তবে পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশের তুলনায় এখানে ডেটা ব্যবহার বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে। এ জন্য স্মার্টফোন ব্যবহারের প্রসার বাড়াতে সরকারের নীতি সহায়তা প্রয়োজন।
রাজীব শেঠি আরও জানান, গত এক বছরে রবির গড় ডেটা স্পিড শতভাগের বেশি বেড়েছে এবং কল ড্রপের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।