লেনদেন নিষ্পত্তির সময় কমাতে চায় বিএসইসি
শেয়ারবাজারে লেনদেন নিষ্পত্তির সময় আরও এক দিন কমাতে চায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসি লেনদেন নিষ্পত্তির সময় কমিয়ে টি+১–এ নামিয়ে আনতে চায়। এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে শেয়ার কেনার পরদিনই বিক্রি করতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা। বর্তমানে লেনদেন নিষ্পত্তি হয় টি+২–তে। অর্থাৎ শেয়ার কেনার পর তৃতীয় দিনে গিয়ে লেনদেন নিষ্পত্তি হয়।
লেনদেন নিষ্পত্তির সময় কমিয়ে আনার বিষয়ে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ ও শেয়ার সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) কাছে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বিএসইসির পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, কিছুটা সময় নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত নিয়ে লেনদেন নিষ্পত্তির নতুন এ সময় কার্যকর করতে চায় সংস্থাটি। আপাতত ‘এ’ ও ‘বি’ শ্রেণির কোম্পানির ক্ষেত্রেই শুধু লেনদেন নিষ্পত্তির সময় কমানোর কথা ভাবছে বিএসইসি।
ডিএসইসহ সংশ্লিষ্ট একাধিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লেনদেন নিষ্পত্তির সময় কমাতে হলে স্টক এক্সচেঞ্জের স্বয়ংক্রিয় লেনদেন নিষ্পত্তিব্যবস্থা তথা সফটওয়্যারেও কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। এ কারণে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে এ বিষয়ে বাস্তবায়নের রোডম্যাপ বা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা জানাতে বলা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শীর্ষস্থানীয় একাধিক ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, লেনদেন নিষ্পত্তির সময় টি+১–এ নামিয়ে আনা হলে তাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা তৈরি হতে পারে। কারণ, বর্তমানে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির পরদিন ওই শেয়ার ক্লিয়ারিং হিসাবে স্থানান্তর করা হয়। কারণ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার থাকে হেফাজতকারী বা কাস্টডিয়ানের কাছে। সে ক্ষেত্রে তৃতীয় দিন গিয়ে ওইসব শেয়ারের লেনদেন নিষ্পত্তি হয়। কিন্তু এখন নিষ্পত্তির সময় কমিয়ে আনা হলে বিদেশিদের শেয়ার হস্তান্তরের ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। কারণ, যেদিন শেয়ার বিক্রি করবে, সেদিনই ওই শেয়ার কাস্টডিয়ানের কাছ থেকে ক্লিয়ারিং হিসাবে স্থানান্তর করা কিছুটা কঠিন হতে পারে। তবে আরেকটি পক্ষ মনে করে, লেনদেন নিষ্পত্তির সময় কমানো হলে তাতে বাজারে লেনদেন বাড়বে।